পুলিশের ফাঁকা গুলি, লাঠিচার্জ, সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভোট বর্জন ও পাল্টা পাল্টি অভিযোগসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে শনিবার কাপ্তাইয়ের ৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ ভোটারদের সরব উপিস্থিতি চোখে পড়ার মত ছিল। সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,গফনযভা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলাকালীন সকাল প্রায় সাড়ে ৯ টায় ৩টি কেন্দ্রে জাল ভোট মারা ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওয়াগ্গা ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহমেদ স্বপন নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেয়। বেলা প্রায় ১০টার দিকে বড়ইছড়ি বাজারস্থ ওয়াগ্গা ইউপি কার্যালয় (পুরাতন) কেন্দ্রে জাল ভোট মারাকে কেন্দ্র করে বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী আপাই মারমার সমর্থকদের সাথে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টায় ওয়াগ্গা ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আপাই মারমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী অংলাচিং মারমা, জেএএস সমর্থীত স্বতন্ত্র প্রার্থী সুনীল তনচংগ্যার সমর্থকরা জোটবদ্ধ হয়ে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর চিরনজীত তনচংগ্যার সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এআর লিমন ছাত্রলীগ নেতা পবন পাল, বাচ্ছু মিয়া, মোঃ রাসেল, নুর আলম, রফিকুল ইসলাম সুমন, দেবাশীষ পাল দেবু, চন্দন বিশ্বাস সহ উভয় পক্ষের ১১জন আহত হয়। সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠি চার্জ করে। ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। একইভাবে শিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়ইছড়ি ইউপি কার্যালয় কেন্দ্র ও শিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ ঘন্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এছাড়া রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুক্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনছড়ি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি আঞ্চলিক দল সমর্থিত প্রার্থীর লোকজনের সশস্ত্র মহড়া ও ভয় ভীতি দেখানের কারনে নৌকার প্রার্থীর কোন এজেন্ট নিয়োগ করা এবং পোষ্টার লাগানো সম্ভব হয়নি বলে আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মংক্য মারমা অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে জাল ভোট প্রদান, দলীয় নেতাকর্মীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে ভোটদানে বাধা দেয়ার কারণে বেলা সাড়ে ৩টায় কাপ্তাই ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মহির উদ্দীন ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন। এছাড়া ৪টি ইউনিয়নের আর কোন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। এসব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফীন, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম। তাঁরা বলেছেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.