৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক নির্বাচনী প্রচারকর্মীকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা অপহরণ ও মারধর করার পর দেশীয় মদ গুজিয়ে দিয়ে পুলিশের সোর্পদ করেছে বলে অভিযোগ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
শুক্রবার সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজিনাদ চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ অভিযোগ করেছেন।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাইখালী ইউনিয়ন কমিটির সদস্য এবং রাইখালী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়ামং মারমার নির্বাচনী প্রচারকর্মী জনি মারমা (৩০) ইউনিয়নের বড়খোলা পাড়ায় নির্বাচনী কাজে যান। এতে রাইখালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মংচ মারমার ৮ থেকে ১০ জনের একদল সমর্থক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইব্রাহিম-এর নেতৃতে রাইখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কর্মী মংবা মারমা ও রকি মারমাসহ বহিরাগতরা এ অপহরনের ঘটনা ঘটায়। পরে অপহরণকারীরা জনি মারমাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধরের পর পাঁচ বোতল দেশীয় মদ গুঁজে দিয়ে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলাধীন রাঙ্গুনিয়া থানায় সোপর্দ করে।
প্রেস বার্তায় আরো বলা হয়, রাইখালী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়ামং মারমার নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান এবং সায়ামং মারমার সমর্থকদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রভাব খাটানোর হীনউদ্দেশ্যে নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এ অপহরনের ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে।
প্রেস বার্তায় এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জনি মারমার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবী জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.