প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাঙামাটির ৪৮ টি ইউনিয়নে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন করতে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কাজ জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিতে আগে থেকেই সেনাবাহিনীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইউপি নির্বাচনের আগে ও পরে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে।
তিনি বলেন, রাঙামাটিতে ইউপি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে জেলার আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় ও পরে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রাঙামাটিতে ৪ জুনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ জন্য যা করা দরকার সব পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে বিশেষ ফোর্স মাঠে নামবে। এখানকার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে আইন ও আচরণবিধি ভঙ্গ করতে না পারে সেজন্য আইনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৪৮টিতে ভোট হবে আগামী ৪ জুন। জেলার কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় সীমানাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ওইসব ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপে ভোট হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। কিন্তু নির্বাচনের অনুকুল পরিস্থিতি না থাকার কথা তোলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ষষ্ঠ ধাপে পেছানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটির ৪৮টি ইউনিয়নে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কোনো সন্ত্রাসী কোনো রকম গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারবে না। এ জন্য কঠোর অবস্থানে ইসি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে আগে থেকেই এখানে নৈমত্তিক দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। এ জন্য আলাদা কোনো নির্দেশের প্রয়োজন নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনীর মাঠে অবস্থান রয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হবে। খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেফতার করবে আইনশৃংখলা বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তারা অপরাধীদের হাতেনাতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দিতে পারবেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহা পরিদর্শক মোঃ শফিক, রাঙামাটি বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস,এম আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারন সম্পাদক দীপন তালুকদার,রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা যোগ দেন।
সভায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং দলের সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে রাঙামাটি জেলায় অবৈধ অস্ত্র অভিযান, চাদাঁবাজি বন্ধ এবং নির্বাচনী দিনে ঝুঁকিপূর্ন ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান সিইসি’র কাছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.