চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদের মাছের উঃপাদন হয়েছে ৯ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন। যার রাজস্ব আয় হয়েছে ১কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা মাছ উৎপাদনে অন্যান্য বছরের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এভাবে হ্রদে মাছ উৎপাদিত হলে আরও বহুগুন রাজস্ব আয় করা সম্ভব।
গতকাল রোববার এক সংবাদ সন্মেলনে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মাইনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি কাপ্তাই হ্রদের ভবিষ্যৎ আশংকা প্রকাশ করে আরও বলেন, হ্রদের যে সমস্ত নদী রয়েছে সেগুলোর গতিপথ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ড্রেজিং-এর দরকার। পাশাপশি হ্রদের দূষন রোধ করতে সচেতনা সৃষ্টি করা দরকার। তা না হলে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বিপর্যয় নেমে আসবে।
বিএফডিসি’র রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মাইনুল ইসলাম আরও বলেন,এর আগের বছর ৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা হয়। বিগত ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে ১২ হাজার ৬ মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে বানিজ্যিকভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু করা হয়।
তিনি বলেন,গত ১২ মে মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন বংশ বৃদ্ধি, মজুদ এবং ভারসাম্য রক্ষার্থে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ওপর তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ তিন মাসে যাতে কেউই হ্রদে মাছ ধরতে ও পাচার করতে না পারে সেজন্য একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে নৌ পুলিশ সার্বক্ষনিক হ্রদে প্রহরায় থাকবে। মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে বরফ কলগুলো বন্ধ রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যাতে ওই সময়ে এসব বরফ কলে মাছ মজুদ করতে না পারে। এছাড়া হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে প্রায় প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার জেলেকে ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হবে।
কাপ্তাই হদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে একশ মেট্রিকটন পোনা অবমুক্ত করা হবে। এছাড়া পোনা উৎপাদনের জন্য ৮টি নার্সারী পুকুর তৈরী করা হয়েছে। জাক দিয়ে মাছ চাষ পুরোপুরি বন্ধ করার চেষ্টা করা হবে। ইতোমধ্যে জাকে মাছ চাষের সফল হয়েছে। অচিরেই তার অনুমোদন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলে মা মাছ যাতে সঠিকভাবে পোনা ছাড়তে তার জন্য ৭টি অভয়াশ্রম রয়েছে। তার মধ্যে ৫টি পুরাপুরি তৈরী করা হয়েছে। এ মাছের অভয়াশ্রম আরও বাড়াতে পারি তাহলে মা মাছ বাচাঁতে পারবো এবং হ্রদের মাছে বৃদ্ধি হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.