২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ হতে মাছ আহরণে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছে। এ বছর হ্রদ থেকে ৯ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ফলে রাজস্ব আয়ে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে ১২০৬.৬৩ মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে বাণিজ্যিক ভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন অর্থ বছরে বিভিন্ন পরিমাণ মৎস্য উৎপাদিত হয়। পরবর্তীতে কালের ধারাবাহিকতায় মৎস্য ব্যবস্থাপনায় বিএফডিসি কর্তৃক বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে হ্রদের মৎস্য উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। অতীতে বিএফডিসি মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ্য মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি, অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভুমিকা রেখেছে।
সূত্র আরো জানায়, বিগত ২০১০-১১ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ হতে মৎস্য উৎপাদনের এবং বিগত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ হতে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কিন্তু চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রায় দেড় মাস হাতে রেখেই অতীতের মৎস্য উৎপাদন ও রাজস্ব আয়ের সেই সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে পূনঃরায় নতুন রেকর্ডর অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। তবে এ সাফল্যগাথা অত্যন্ত প্রসংশার দাবী রেখেছেন বিএফডিসি’র কর্মকর্তা/কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মাইনুল ইসলাম জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৯ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর আগের বছর ৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, হ্রদে মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে সব অবৈধ মাছ চাষ ‘জাক’ উচ্ছেদ করা হবে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএফডিসি ও নৌপুলিশ তাৎক্ষণিক উচ্ছেদ করবে সেগুলো।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.