বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাঙামাটি শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ পুলিশের কাছ থেকে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে আটক দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনা ঘটেছে। ছিনিয়ে নেয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন কলিম ও এরশাদ। এদিকে, আটক দুজনকে শুক্রবার রাঙামাটি জেলা আদালতে তোলা হয়েছে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গেল বৃহস্পতিবার রাত১০টার দিকে শহরের কাঠালতলী এলাকা থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জমির উদ্দীনের ছেলে ও রাঙামাটি সরকারী কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীনের মোটর সাইকেল চুরি অভিযোগে ছাত্রলীগের দুকর্মী এরশাদ ও কলিমকে আটক করে। এর আগে পুলিশ আসিফ নামের আরো একজনকে আটক করে। পরে আটককৃতদের কতোয়ালী থানার এসআই প্রিয়তোষ বড়ুয়ার নেতৃত্বে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় রাত ১০টার দিকে শহরের তবলছড়িস্থ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি কার(চট্টমেট্রে-গ-১২০২২৯) নিয়ে দ্রত গতিতে পুলিশের গাড়ী গতিরোধ করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সূজন ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পা।
এসময় ছাত্রলীগ নেতারা পুলিশকে গালিগালাস করতে থাকেন এবং ফোনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওই এলাকায় জড়ো করেন। পুলিশের সাথে বাকবিন্ডার এক পর্যায়ে আটক ৩ আসামীকে ছিনিয়ে যায়। এসময় পুলিশ নির্বাক হয়ে পড়েন এবং বাধা প্রদান করেননি। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোঃ শহীদুল্লাহ,সহকারী পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল ও কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথাবার্তার পর ছিনিয়ে নেয়া আসামীদের রাত ১২টার দিকে পুলিশের কাছে ফেরত দেয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সূজন তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে বলেন, মূলতঃ ছাত্রলীগের নিরীহ দুকর্মীকে কোন ওয়ারেন্ট বা অর্ডার ছাড়া আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের কর্মীরা কথাবার্তা বলছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ নিজেরাই আটককৃতদের ছেড়ে দেয়। পুলিশের কাছ থেকে আটক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো জানান, পুলিশের সাথে কথাবার্তা বলার আটককৃতদের আবারও পুলিশের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুরজিত বড়ুয়া জানান,মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে গত ২৬ এপ্রিল আওয়ামলীগ নেতা মোঃ জমীর উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে এরশাদ ও কলিমকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের সাথে অসিফ নামের একজনকে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটক দুজনকে শুক্রবার রাঙামাটি আদালতে তোলা হয়েছে।
কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে শহরের কাঠালতলী এলাকা থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ী গতিরোধ করে পুলিশের কাছ থেকে আসামীদের ছিনিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্র্মীরা। পরে রাত ১২টার দিকে আটক আসামীদের আবার ফেরত দিয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.