কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির ৩২টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহন সম্পন্ন

Published: 23 Apr 2016   Saturday   

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে  খাগড়াছড়ির ৩২টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

 

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার ৩২টি ইউপিতে ২৯৫টি কেন্দ্রের সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্ষন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও  স্থানীয় রাজনৈতিক দলের ১৩৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২৯৩ ও সাধারণ আসনে ৯৪৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এসব ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৯৯ হাজার ৭০ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১লক্ষ ৪৭ হাজার ১৯৬জন ও পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ৫১ হাজার ৮৭৪জন। এছাড়া দূর্গমতার কারণে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজে হেলিক্যাপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। 

 

এদিকে, ভোট গ্রহনকালে দুপুর ১টার পর দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী, হাচিনসনপুর ও মেরুং এলাকায় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কারণে তিনটি কেন্দ্রে সাময়িক ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। এসময় হাচিনসনপুর এলাকায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক সেনাবাহিনী-বিজিবি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

কবাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্ব কল্যাণ চাকমা অভিযোগ করে দাবী করেছেন, দুপুর ১টার পর ক্ষমতাসীন দলের লোকজন কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে। এসময় পুনর্বাসিত বাঙালিরা পাহাড়িদের ওপর আক্রমণ করে এবং একটি বসত ঘর ও তাঁর নির্বাচনী এন্টের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

 

এদিকে জেলা বিনেপি’র দপ্তর সম্পাদক আবু তালেব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে  অভিযোগ করেছেন, ১৪ টি কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট  দেওয়া হয়েছে।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো  দাবী করে অভিযোগ করা হয়,মহালছড়ি ইউপি‘র মহালছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহালছড়ি আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চৌংড়াছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র। মাইসছড়ি ইউপি‘র মানিকছড়ি ৩নং জয়সেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লেমুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে। তবলছড়ি ইউপি‘র বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আচালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বংপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করে। রামগড় ইউপি‘র হাতিরখেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাতাছড়া নিউতাই চাকমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রেও একই অবস্থা। ১নং ছোট মেরুং ইউপির ছোট মেরুং উচ্চ বিদ্যালয়, আরএ রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ রেংকাইজ্জ্যা জব্বার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ করা হয় প্রেস বিজ্ঞাপ্ততে।  ইউপিডিএফও পৃথক এক বিবৃতিতে ১২টি ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছে।

 

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কিছু ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে সেসব কেন্দ্রে সাময়িক ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হলেও পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে যেসব কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে সেসব কেন্দ্রে সাময়িক ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখার পাশাপাশি দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করেছে জানান তিনি।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত