আনন্দ-ফুর্তি আর রকমারী স্বাদের খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু-এর দ্বিতীয় দিন মূল বিজু বুধবার উদযাপিত হয়েছে।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু’র দিনে আদিবাসীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয় রকমারী স্বাদের খাবার-দাবার। আর এসব খাবার আগত অতিথিদের পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এসব খাবারের অন্যতম ছিল পাঁচন তরকারী, পিঠা পায়েস ও এক ছোনী-দোছোনীর মদসহ কয়েক রকমারী খাবার।
সকাল থেকে রাত পর্ষন্ত আদিবাসী শিশু থেকে যুবক-যুবতী ও বয়স্করা নতুন জামা কাপড় করে দল বেঁেধ আনন্দ উৎসবে মেতে পুরাতন বছরকে বিদায় জানান। এ উৎসবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথে বাঙালী সম্প্রদায়ের লোকজনও যোগদান করেছেন। তাই সব মিলিয়ে পাহাড় এখন আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা।
এদিকে,বৃহস্পতিবার উৎসবের শেষ দিন গজ্যাপজ্যা বিজু। এ দিনে আদিবাসীরা সারাদিন ঘরে বসে পূর্ন বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। এ দিন বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে যত্নসহকারে ভাত খাওয়ানোসহ আর্শীবাদ নিয়ে থাকেন। এদিনটিকে আদিবাসীরা মনে করে থাকেন সারাদিন আনন্দ আর হাসি-খূশিতে কাটাতে পারলে সারাটা বছর অত্যন্ত সূখে শান্তিতে ও ধন-ধৌলতে কেটে যাবে।
উল্লেখ্য,রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু। এই উৎসবটি আদিবাসী পাহাড়িদের শুধু আনন্দের নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.