পাহাড় জুড়ে ফুটেছে ‘বিজু ফুল’

Published: 11 Apr 2016   Monday   

বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু-এর আগমনী’র আগাম বার্তা নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পাহাড় জুড়ে ফুটেছে ‘বিজু ফুল’।  এ ফুল দেখলেই আদীবাসীদের মনে  বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু-এর আনন্দে মন দোলা দেয় আর প্রস্তুতি নিতে থাকে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু-এর।

 

প্রকৃতিতে আপনা-আপনি ফুটে এ ফুল। আদিবাসী বংশ পরস্পরায় ফুল বিজু দিনে ‘বিজু ফুল’ দিয়ে পুরো ঘর বাজিয়ে রাখে। ‘ফুল বিজু’ দিনে এ ফুল দিয়ে ঘর সাজানো হলেই ‘বিজ’ুর পরিপূর্ণতা পায়। তবে পাহাড়ে এখন আর আগের মতো ‘বিজু ফুল’ না পাওয়া অন্যান্য ফুল দিয়েও ঘর সাজানো হয়।

 

চাকমারা এ ফুলকে বলে ‘ভাতজোড়া ফুল’। ত্রিপুরারা বলে ‘কুমুইবোবা’। মার্মারা বলে ‘চগাপেইং’ আর সাওতাল সম্প্রদায়েরা এ ফুলকে বলে ‘পাতাবাহা’, বাংলা ভাষায় বলা হয়‘ভিউফুল’। ‘ফুল বিজু’ দিনে ‘বিজু ফুল’ সংগ্রহের জন্য অনেকেই ভোরে জঙ্গল থেকে ‘বিজু ফুল’ তুলে আনে। আদিবাসীরা আগের সেই রেওয়াজ হারিয়ে যেতে বসেছে বলে বয়োবৃদ্ধরা জানিয়েছেন।

 

পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শান্তিময় চাকমা ও প্রভাষক তড়িৎ আলো তালুকদার বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম ফুল বিজু দিনে ‘বিজু ফুল’ সংগ্রহের জন্য খুব ভোরে জঙ্গলে যেতাম। আর বিজু ফুল দিয়ে পুরো ঘর সাজাতাম। এখনতো আর সেই দিন নেই। মানুষ এখন বিঝু নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি কম করে। কালের আবর্তনে পরবর্তী প্রজন্মের আদিবাসী শিশুরা বিজু ফুল চিনবে না। একটাই কারণ পাহাড়ে আগের মতো আর বন জঙ্গল নেই।

 

পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ধন বিকাশ চাকমা বলেন, পাহাড়ে বৃক্ষশুন্য হওয়ার কারনে এখন আর আগের মতো ‘বিজু ফুল’ পাওয়া যায় না। অব্যাহত বন উজার আর পাহাড় কাটার ফলে ভবিয্যতে এ ফুল পাওয়া কষ্ট সাধ্য হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এ ফুলগুলো চিনবেও না। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য এ ফুল সংরক্ষন করা প্রয়োজন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত