পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু এবং বাংলা নববর্ষ উৎসব উপলক্ষে বুধবার রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন, জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ, পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সাগরিকা রোয়াজা, পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি লাল চুয়াক লিয়ানা পাংখোয়া। প্রমুখ। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে একটি বর্নাঢ্য র্যালী রাঙামাটি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয় রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু আর বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পাহাড়ে এখন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ের প্রতিটি পল্লিতে এ উৎসবকে ঘিরে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে উঠেছে আনন্দ উৎসবে। এতে করে মানুষে মানুষে যে সুভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি হয়েছে তাতে পার্বত্য এলাকা শান্তি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
সভাপতির বক্ত্যব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সামাজিক উৎসব বিজু- সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু এবং বাংলা নববর্ষে মানুষ যাতে উৎসবমূখর পরিবেশে পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে জেলা পরিষদ পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করেছে।
তিনি আরো বলেন, বৈসাবি আর বৈশাখি উৎসবে মানুষের সম্প্রীতি যাতে আরো সুদৃঢ় হয় সকলকে সে চেষ্ঠা নিতে হবে। অতিতের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে পুরাতন বছরকে বিদায় আর বাংলা নতুন বছরকে আনন্দের সাথে মানুষ যাতে বরণ করতে পারে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.