ডিজিটাল সুবিধা এখন শহর ছেড়ে গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সুফল অরণ্য বেষ্টিত পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ তার ভোগ করছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেটসহ বিদ্যুৎ সুবিধাগুলো দুর্গম পাহাড়ী এলাকার মানুষ পেতে শুরু করেছে।
একসময় দুর্গম এসব এলাকায় মোবাইল, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ সুবিধার কথা চিন্তাই করা যেত না। বর্তমানে এ জনপদের অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতি, পাখা ব্যবহার হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এমন এলাকাগুলোতে ঘরে ঘরে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। তেমনি কাপ্তাই হ্রদ পথে মাছ ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবিদের ইঞ্জিনচালিত বোটে এ প্রথম সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। এতে মৎস্যজীবি ও মৎস্যব্যবসায়ীরা নানা সুফল পেতে শুরু করেছেন।
কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাহাবুদ্দিন জানান, তার প্রায় ১২টি ইঞ্জিনচালিত বোটে তিনি সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল সংযোজন করেছেন। প্রতিটি প্যানেল বসাতে প্রায় ১৩ হাজার টাকা হারে খরচ পড়েছে। প্রতিটি প্যানেল থেকে ৬০ ওয়াটের ২ টি বাতি ৭/৮ ঘন্টা পর্যন্ত জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে। আগে কেরোসিন তেল ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক খরচ সহ বিড়ম্বনার শিকার হতে হত। বিশেষ করে কেরোসিন তেল ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় তেল পড়ে অনেক মাছ নষ্ট হত। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। বর্তমানে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে অর্থের অপচয় সহ মাছ নষ্টের ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
এছাড়া হ্রদ পথে রাতের বেলা আসা যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের ফলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তার দেখাদেখি অনেকেই এখন ইঞ্জিনচালিত বোটে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ফলে হ্রদপথের মাইনি, লংগদু, মারিষ্যাসহ হ্রদপথে দুরদুরান্তে চলাচল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আনা-নেওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে এলাকাবাসী।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.