সাংবাদিক জামাল উদ্দীনের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিশেষ দোয়ার ও কবর জেয়ারত করা হয়।
রাঙামাটির শহরের বনরূপা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সাংবাদিক জামালের কবরে জেয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পন করেন তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া কাঠালতরী মসজিদের মোয়াজিম এ বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সাংবাদিক জামালের বড় ভাই মো. সালাউদ্দিন করিম (আবু), মো. এম কামাল উদ্দিন আকাঁশ, মো. জাবেদ উদ্দিন হৃদয়, বোন বানাছা, সাংবাদিক মহুয়া জান্নাত মনি ও ছোট বোন সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু ও মাহাফুজ আলম সজীব বিশেষ দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।
জামালের ছোট বোন সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, যারা আমার ভাইজানকে হত্যাকারীদের বিচার যদি পৃথিবীর বুকে না হয়, তাহলে আখিরাতে অবশ্যই হবে। আল্লাহর উপর এ বিশ্বাস নিয়ে এখনো বেঁেচ আছেন আমার মা।
জামাল উদ্দিন ১৯৮৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি শহরের কাঠালতলী এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের ৩ বছল পর জামাল উদ্দিনের পিতা আব্দুল আলম (ওয়াশিংটন) মারা যান । পিতার মৃত্যুর পর জামাল উদ্দিন অতি কষ্টে লেখা পড়া শেষ করে পেশাগত জীবনে সফল হতে পেরেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ৫ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার পর ৬ মার্চ রাঙামাটি পর্যটন এলাকায় তার মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে তার পরিবার। তিনি বেসরকারি টিভি চ্যানাল এনটিভির, স্থানীয় দৈনিক গিরিদর্পণের বার্তা প্রধান ও দৈনিক বর্তমান বাংলা, বার্তা সংস্থা আবাসে রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরর্ত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.