বান্দরবানের লামা বন বিভাগ চলতি অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জুন পর্যন্ত সরকারী ভাবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ ছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বাঁশ মহাল বিক্রয়, জব্দকৃত কাঠ ও বাঁশ নিলামে বিক্রয়, অবৈধ কাঠ বহনকারী গাড়ীর জরিমানা, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী আদায় হয়েছে।
জব্দকৃত কাঠ বাঁশসহ বনজ দ্রব্য নিলামে বিক্রয় করে ৭৭ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, সামাজিক বনায়নের কাঠ ও মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলামে বিক্রয় করে ৭৭ লক্ষ টাকা, আয়কর বাবদ ৮ লক্ষ ৬ হাজার টাকা ও ভ্যাট বাবদ ১৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
জানা যায়, পার্বত্য বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসহ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের সকল শ্রেণী ও অশ্রেণীভূক্ত বন লামা বনবিভাগের অধিনে অর্ন্তভূক্ত। কিন্তু গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে স্থিত ৯০শতাংশ এ প্রাকৃতিক বন উজাড় হতে থাকে। এখনো অবৈধভাবে বন উজাড় চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বছর বছর ধরে প্রতিদিন অবৈধ পন্থায় হাজার হাজার ঘনফুট গাছ ও হাজার হাজার বাঁশ নদী, খাল, ঝিরি ও কাঁচা-পাকা সড়ক পথে পাচার হয়ে আসছে। অবৈধ গাছ ও বাঁশ জব্দ করার ক্ষেত্রে লামা বন বিভাগ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে বর্তমান রাজস্ব আদায়ের লক্ষ মাত্রার চেয়ে শত ভাগের অধিক রাজস্ব আদায় হতো বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি অবৈধভাবে গাছ ও বাঁশ পাচার বন্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বেশী করে রাজস্ব আদায় করার লক্ষ্যে আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করার সম্ভাবনা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.