বুধবার রাঙামাটিতে সফরত দাতা সংস্থা প্রতিনিধিরা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে সফর আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা প্রতিনিধিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা সাক্ষাত করেন। এসময় জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ইউএন সিএইচটি প্রোগাম ফরমুলেশন টিমের সদস্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুল মজিদ আকন্দ, বাংলাদেশ সরকারের এক্সটারনাল রিসোর্স ডিভিসনের যুগ্ন সচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম ও প্লানিং কমিশন এর সিনিয়র এসিস্টেন্ট চীফ আব্দুল জব্বার, ইউএসএইড এরআজহারুল হাসান মজুমদার, ইউনিসেফের লুইস মোভনো ও মাধুরী ব্যানার্জী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফ্রেব্রিজিও সিনসি, ইউএনডিপি’র নিক বেরিসফ্রোর্ড, ফ্রেনসিন পিকআপ ওহেনরিক লারসেন, জাপান এ্যাম্বেসীর রিকো হারা, এইএনএফপি’র লরিকাটো,ডব্লিউএফপির জিমি রিচার্ডসন,ফাউ এর ডেভিদ দোলান এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের এনালিক্সি,ই্সউএনডিপি-এইচডিএফের সহকারী পরিচালক প্রসেনজিত চাকমা ।উল্লেখ্য, ইউএন সিএইচটি প্রোগাম ফরমুলেশন এর জন্য গঠিত এ দলটি ২২ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলার সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন, সিভিল সোসাইটি, ট্রাডিশনাল নেতৃত্ব এবং এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।সাক্ষাৎকালে পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচিত পরিষদ গণতন্ত্রের বিকাশে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে বলে তিনি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের জানান।তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ একই প্রশাসনিক ধারায় আসার কথা থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন আইনে বাংলাদেশের অন্য জেলার মত পার্বত্য চট্টগ্রামও শাসিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সকল জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো একই প্রশাসনিক ছাতার অধীনে শাসিত হলে সুশাসন নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের সুফল এলাকার জনগণ পাবে।পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে দাতাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ৫ বছরে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এবং পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর মধ্যে যৌথ উদ্যোগে কাজ বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সন্তোষজনক। তিনি দাতা সংস্থাগুলোর আগামী প্রকল্পে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে জেলার অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন শিল্প উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দেরও আহ্বান জানান।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.