বন মামলা আইনের ৪২ধারার দি চিটাগাং হিলট্রাক্টস ট্রানজিট রুলস ১৯৭৩-এর ৯ নং বিধি সংশোধনের সুপারিশ

Published: 01 Mar 2016   Tuesday   

দি চিটাগাং হিলট্রাক্টস ট্রানজিট রুলস ১৯৭৩-এর ৯ নং বিধিটি বন আইন ১৯২৭-এর ৪২ ধারার সাথে সাংঘর্ষিক পূর্ণ হিসেবে  উল্লেখ করে এই ধারাটির সংশোধন হওয়ার  প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষন মতামত প্রদান করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সহ মন্ত্রনালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, রাঙামাটির বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বন সংরক্ষক- এর কাছে সংশোধনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

 

মঙ্গলবার রাঙামাটির সিজিএম  কোর্টে দায়েরকৃত বনমামলা ০৯/২০১৩ এর  বিচারের রায় প্রদানকালে রায়ের পর্যবেক্ষন  করে এ পর্যবেক্ষন মতামত সুপারিশ করেন রাঙামাটির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের  বিজ্ঞ সিজিএম মোহাম্মদ সামস উদ্দীন খালেদ ।

 

রায়ের বিস্তারিত বর্ণনার একটি অংশে বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখ করেন, বন মামলা আইন ১৯২৭-এর ৪২ ধারায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের শাস্তি সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।  দি চিটাগাং হিলট্রাক্টস ট্রানজিট রুলস ১৯৭৩-এর ৯ নং বিধিতে নির্দেশিত শাস্তির পরিমান অপ্রতুল হওয়ায় এবং উহা বন আইনের ১৯২৭-এর ৪২ ধারার সহিত সাংঘর্ষিক পূর্ণ থাকায় একদিকে অপরাধীরা সহজে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন এবং অপরদিকে তিন পার্বত্য জেলার গুরুত্বপূর্ণ বন সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে ।  এই অঞ্চলের  বনজ সম্পদ রক্ষায়  দি চিটাগাং হিলট্রাক্টস ট্রানজিট রুলস ১৯৭৩-এর ৯ নং বিধিটি বন আইন ১৯২৭-এর ৪২ ধরার আলোকে সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন।

 

মামলার রায়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্ম মোহাম্মদ সামস উদ্দিন খালেদ আসামী  মোঃ মনছুর আলীকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায়  দি চিটাগাং হিলট্রাক্টস ট্রানজিট রুলস ১৯৭৩ এর ৯ ধারা মোতাবেক ৬ মাস সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাস সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং আসামী আদালতে আত্নসমর্পন অথবা পুলিশ কতৃর্ক ধৃত হওয়ার পর থেকে এই শাস্তি কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করেন। অপর আসামী সৈকত বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ার তাকে খালাস প্রদান করা হয়।

 

মামলার রায়ে জব্দকৃত ৯০ টুকার সেগুন কাঠ ৮৭.১৩ ঝণফুট)কাঠ এবং  কাঠ বহনে ব্যবহৃত রংপুর–গ-৭৮০৭ (যা আদালতে উপস্থাপিত হয়নি) বন আইন ১৯২৭-এর ৫৫ ও ৫৬ ধারার বিধান মোতাবেক রাস্ট্র বরাবর বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।

 

উল্লেখ্য,  ৯ মে ২০১২ সালে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার তাইতং পাড়া এলকায় সেগুন কাঠ বোঝাই একটি জীপ গাড়ী পরিত্যক্ত অবস্থায়  আটক করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত কাঠ  যাচাই-বাছাইকালে এ কাঠ অবৈধ উপায়ে পাচার করা হচ্ছিল প্রতীয়মান হলে  রাজস্থলী থানায় বন বিভাগের ফরেস্টার মোঃ শাহাজাহান নওশাদ বন মামলা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ মামলাটি  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। মামলায়  মোঃ মনছুর আলম এবং সৈকত বড়ুয়াকে আসামী করা হয়। তবে এ মামলার দুই আসামী শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত