মঙ্গলবার রাঙামাটির জুরাঠড়িতে সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পৃক্তকরণের উপর প্রেস ব্রিফিং-এর আয়োজন করা হয়।
রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জুরাছড়ি বিশ্রামাগারে লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসার কৃপাময় চাকমা।
প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা দারিদ্র, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সরকার তার বিগত মেয়াদে নির্বাচনী ইশতাহারের অন্যতম ভিশন-২০২১ কাজ করছে। এ গৌরবময় ভিশন ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ উন্নয়ন, টেলিযোগাযোগ, গ্রামীণ অবকাঠামো, দারিদ্র বিমোচন, জেন্ডার সমতা, নারী ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঈর্ষনয়ি সাফল্য অর্জন করেছে। বয়স্ক ভাতা, বিধাব-তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা কর্মসূচী, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বৃদ্ধি, চরম দারিদ্রদের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য ভিজিএফ, ভিজিডি ও জিআর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে।
প্রেস ব্রিফিং বলেন, সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেই নন ইউরিয়া সারের মূল্য অর্ধেক সহ তিনবারে শতকরা ৭০ থেকে ৭৮ ভাগ পর্যন্ত মূল্য কমিয়েছে। ২০১২-১৩ সালে খাদ্য শস্য উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াই ৩ কোটি ৭২ লক্ষ মে:টন। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাড়ায় ৩৮৩.৪৩ লক্ষ মে: টন। দেশি ও তোষা পাটের জীবন রহস্য আবিস্কার ও পাঁচ শতাধিক ফসলের ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবন রহস্য উম্মোচন কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কৃষিকাজে কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য ১০ টাকা জমায় কৃষকদের ব্যাংক এ্যাকাউনট খোলার ব্যবস্থা করে সরকার। বর্তমানে সারের খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা ও এমওপি ১৫ টাকা।
কৃপাময় চাকমা আরো জানান, ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে ৯১ কোটি ৪১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৩৪টি পাঠ্যপুস্তক বিণামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ৩২ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯২৩ কপি পুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। স্কুল থেকে ¯œাতক পর্যন্ত ২২৪৫.৬৫ কোটি টাকা উপবৃত্তিসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে এ সরকারের একটি বড় সাফল্য।
তিনি আরও বলেন, সরকার ১২,২৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। ১৫ হাজার চিকিৎসকসহ প্রায় ৬০ হাজার জনবল নিয়োগ, ১২টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং ১৩৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যা, ৫টি জেলায় ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। দেশে ১ লক্ষ ৪০ হাজার পানির উৎস নির্মাণসহ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার সেট স্যানিটারী ল্যাট্রিন বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে সনদ লাভ করেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.