পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রনালয়ের সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেছেন, পার্বত্য চুক্তির আলোকে সরকার স্থানীয় পর্যটন বিভাগকে এ মাসেই(২৮ আগস্ট) তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। জেলা পরিষদের আওতায় স্থানীয় পর্যটন বিভাগকে হস্তান্তর করা গেলে এ অঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকাশে একটি সুযোগ তৈরী হবে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য মন্ত্রণালয় পরির্দশন করবেন বলেও জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল নাগরিকের উন্নয়নের জন্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এবং তা স্পষ্টাকারেই চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি মোতাবেক সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এ কথা বলেন।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে-এর সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভায় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, বোর্ডের সদস্য শাহীনুল ইসলাম, সদস্য নুরুল আলম চৌধুরীসহ বোর্ডের উদ্ধতন কর্মকর্তাসহ রাঙামাটিতে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড-এর কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে খোলামেলাভাবে মতবিনিময় করেন। এসময় সাংবাদিকরা বোর্ডের ঠিক সময়ে তথ্য না পাওয়ার কথাও তুলে ধরেন।পার্বত্য সচিব আরও বলেন, ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আইন সংসদে পাস হয়েছে এবং আইনটি গেজেট আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির বেশ কিছু অংশে অষ্পষ্টতার কারনে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নিকট সরকারী বিভাগ ও বিষয় সমূহ হস্তান্তরে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এর মধ্যে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে ২৫টি ও বান্দরবান জেলা পরিষদে ২৩ টি বিভাগ ও বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর কিছুদিন আগে মাধ্যমিক শিক্ষা হস্তান্তর করা হয়েছে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে। কিছু আইনি জটিলতা দূর করার পর স্থানীয় পুলিশ বিভাগও হস্তান্তর করা হবে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট। এছাড়া ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারী শিল্পের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষমতাও এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও মেরামত, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাস্তবায়িত এসব কর্মকান্ডের ফলে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন এসেছে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.