পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ আশা-নিরাশার দোলাচলে ভুগছেন

Published: 02 Dec 2015   Wednesday   
ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সই-এর অনুষ্ঠান। ছবি সংগৃহীত।

ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সই-এর অনুষ্ঠান। ছবি সংগৃহীত।

আজ ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮ তম বর্ষপূর্তি। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘ আঠার অতিবাহিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় দিন দিন উদ্বেগ,উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।

 

এদিকে, পার্বত্য চুক্তির বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে চুক্তি সম্পাদনকারী অন্যতম দুটি পক্ষ রাঙামাটিতে পৃথক দুটি স্থানে জনসমাবেশ  ডেকেছে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ  দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে  ১৯৯৭ সালের এই দিনে(২ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

পার্বত্য চুক্তির ১৮ তম প্রেক্ষাকালেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে চুক্তি সম্পাদনকারী দুটি পক্ষের ভিন্ন বক্তব্যে মিলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস) বলছে সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পুর্ন বন্ধ রেখেছে।

 

আবার সরকার পক্ষ বলছে চুক্তি অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকী ধারাগুলো বাস্তবায়নে চলমান রয়েছে এবং পার্বত্য চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হবে।

 

একাধিক সুত্র মতে, বিগত সময়ে পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সময় সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার(রোড ম্যাপ) দাবীতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে অফিস-আদালত বর্জন, হাট বাজার  বর্জন, প্রতীকি অনশন ধর্মঘট এবং স্কুল-কলেজে ছাত্র ধর্মঘটের মত কঠোর কর্মসূচি পালন করেছিল।

 

কিন্তু সরকারের পক্ষ  থেকে  রোডম্যাপ  ঘোষনার কোন সাড়া  দেয়নি। ফলে পার্বত্য চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ আশা-নিরাশার দোলাচলে ভুগছেন।

 

এ অবস্থায় আজ রাঙামাটি শহরের দুটি ঐতিহাসিক স্থানে দুপক্ষের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জনসভার আয়োজন করেছে। এর মধ্যে শহরের কুমার সমিত রায় ব্যায়ামাগার চত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) আয়োজনে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিসিজেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু)।

 

পিসিজেএসএস নেতা সাধু রাম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সমাবেশে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ সরেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানসহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

 

পিসিজেএসএস সূত্রে জানা গেছে এ সময়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী, সমর্থক উপস্থিতিতে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন এবং রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় একই সাথে অসহযোগ আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা দিতে পারেন।

 

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এ জনসভা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময়সূচি ভিত্তিক কর্মসূচী  (রোডম্যাপ)  ঘোষনার দাবীতে তিন জেলা হরতাল অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা  আসতে পারে।

 

অন্যদিকে, বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিকাল ৩টায় রাঙামাটি  পৌর সভা চত্বরে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন  করেছে। জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ জেএফ আনোয়ার চিনু ছাড়াও স্থানীয় অংগ সংগঠন সমূহের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। পৃথক দুটি  জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিনত করার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে দুটি পক্ষ  থেকে জানা গেছে।

 

চুক্তি নিয়ে জনসংহতি সমিতি ও সরকার পক্ষের বক্তব্যেঃ

১৮ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ২৮ নভেম্বর ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ   চেয়ারম্যান  জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) বলেছেন, সরকার পার্বত্য জুম্ম জনগণের বঞ্চনা ও আশা-আকাংখার প্রতি কোনরূপ তোয়াক্কা না করে, সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের পরিবর্তে সরকার যদি রাষ্ট্রযন্ত্র ও অস্ত্র শক্তি ব্যবহার করে জুম্ম জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনপীড়ন করতে থাকে, তাহলে জুম্ম জনগণের পেছনে ফেরার কোন গত্যন্তর থাকবে না। জুম্ম জনগণ আরো কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।

 

তিনি দাবী করেন জুম্ম জনগণ তাদের জাতীয় অস্তিত্ব ও আবাসভূমির অস্তিত্ব সংরক্ষণের স্বার্থে আত্মবলিদানে ভীত না হয়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বদ্ধপরিকর। তার জন্য  যে কোন অনাকাংখিত পরিস্থিতির জন্য সরকার তথা শাসকগোষ্ঠীই দায়ী থাকবে।

 

সন্তু লারমার অভিযোগ করেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ না নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ‘চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে’ বা ‘চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক’, শতকরা ৮০ ভাগ চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে’, কখনো বা ‘এ সরকারের আমলে শতকরা ৯০ ভাগ চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে’ ইত্যাদি বুলি আওড়িয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

 

বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সরকার চরম উদাসীনতা ও নির্লিপ্ততা প্রদর্শন করছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।

 

তিনি চুক্তির ব্যাপারে নীতি নির্ধারকেরা উগ্র জাতীয়তা, সম্প্রদায়িক, প্রগতি বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত ক্রীয়াশীল হওয়ার কারনে আজও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ আনেন। 

 

অপরদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পার্বত্য শান্তি চুক্তির অধিকাংশই ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবী করে বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে অনেক বিষয় জেলা পরিষদগুলোতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

কার্যক্রমে গিয়ে কাজটির আসতে আসতে এগুতে হবে। কিন্তু চুক্তির বাস্তবায়নের পারসেন্টেস বলতে শতকরা ২৩ ভাগ ২০ ভাগ কথাটি ঠিক নয়। আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তি শতকরা ৭৫ ভাগ বাস্তবায়ন করেছি।

 

তিনি আরও বলেন, উভয়ে যে লক্ষ্য নিয়ে চুক্তি করেছি, সেটি হয়তো কোন কোন ক্ষেত্রে সময়ে দেরী হচ্ছে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এগুচ্ছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে সরকারের কোন প্রকার কার্পন্যে নেই।

 

তার মতে, জনসংহতি সমিতি যেটা জোর দিচ্ছে ভূমি কমিশন সংশোধন নিয়ে সরকারও তার জোর দিচ্ছে। ভূমি কমিশন আইনটি সংসদে উঠলে তা আইনে পরিণত হলে কাজের আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

 

চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে চাকমা রাজা যা বললেনঃ

চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার  দেবাশীষ রায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি ডিপ ফ্রিজে ঢুকে গেছে উল্লেখ করে বলেন, ফ্রিজের দরজাটা কেউ খুলছে কিনা, খুলবে কিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ অবশ্যই উদবিগ্ন হয়ে আসে।

 

তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তির অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইনটি বিগত সংসদ চলার সময় সংশোধনের কথা ছিল। আইনটি সংশোধন নিয়ে সরকার ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ উভয়েই প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এখনো আইনটি কোন পর্যায়ে রয়েছে জানি না।

 

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্ধ-সংঘাত হয় তা সার্বিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতার জন্য ভাল না, এমনকি পাহাড়ী বাঙালী সম্পর্কের জন্যও ভাল না। তাই এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি দেয়া উচিত। 

 

চুক্তির ১৮তম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে জনসংহতি সমিতির বুকলেট প্রকাশঃ

পার্বত্য চুক্তির ১৮তম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে একটি বুকলেট প্রকাশ করেছে। বুকলেটে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ; পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন বিষয় ও কার্যাবলী হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ এবং এসব পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিতকরণ; পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এর বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন পূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিকরণ; আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তু ও প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ ও তাদের স্ব স্ব জায়গা-জমিতে পুনর্বাসন; সেনা শাসন ‘অপারেশন উত্তরণ’সহ সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার;

 

অস্থানীয়দের নিকট প্রদত্ত ভূমি ইজারা বাতিলকরণ; পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল চাকরিতে জুম্মদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী অধিবাসীদের নিয়োগ; চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ও বাংলাদেশ পুলিশ আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ সংশোধন; সেটেলার বাঙালিদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন ইত্যাদি বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

 

বুকলেটে আরও বলা হয়, পার্বত্য চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে জেলার আইন-শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধান, সংরক্ষণ ও উহার উন্নতি সাধন; ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা; পুলিশ (স্থানীয়), সরকার কর্তৃক রক্ষিত নয় এই প্রকার বন সম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন; পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট ও অন্যান্য স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান; মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়সমূহ এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।

 

বুকলেটে অভিযোগ করা হয়, সরকার একদিকে চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বছরের পর বছর ধরে অবাস্তবায়িত অবস্থায় রেখে দিয়েছে, অন্যদিকে চুক্তি বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম-স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম অব্যাহতভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

 

প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে একতরফাভাবে ২০১৪ সালে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে অন্তর্বর্তী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য-সংখ্যা পাঁচ থেকে ১৫ জনে বৃদ্ধি করে অগণতান্ত্রিক ও দলীয়করণের ধারা আরো জোরদার করা হয়েছে। এভাবে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহকে চুক্তি বিরোধী ও দুর্নীতির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে।

 

বুকলেটে দাবী করা হয়, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষাকে বেহাল অবস্থায় রেখে, জুম্ম জনগণের অধিকার ও অস্তিত্বকে বিপন্ন করে সরকার উন্নয়নের নামে রাঙামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজের কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছে। যা পার্বত্যবাসী গোড়া থেকেই বিরোধিতা করে আসছে।

 

সার্বক্ষণিক সেনা ও পুলিশ প্রহরাধীনে এসব বিতর্কিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে।

 

ব্যাপক জনমতের বিপরীতে এভাবে বিতর্কিত রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু করার ফল কখনোই শুভ হতে পারে না।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত