অধিকার আদায়ের লক্ষে আদিবাসী জুম্ম নারীদের অধিকতরভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে হবে-সন্তু লারমা

Published: 18 Oct 2015   Sunday   

রোববার রাঙামাটিতে তিন দিন ব্যাপী আদিবাসী নারী ও শিশু সহিংসতার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা শুরু হয়েছে। 

কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) বলেছেন, বিগত দুই যুগ ধরে চলা সশস্ত্র সংগ্রামের সময়েও আদিবাসী জুম্ম নারীরা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানেও তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলনে বড় ভুমিকা রেখে চলেছেন। তিনি আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষে যে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে তার অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা ও অংশ গ্রহনের জন্য জুম্ম নারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সবচেয়ে আাদিবাসী নারী ও কণ্যা শিশুরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। তার থেকে প্রতিবিধান পেতে হলে নারী সমাজসহ সবাইকে সোচ্ছা হয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
শহরের কল্যানপুরের টংগ্যা সম্মেলন কক্ষে কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়। কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনকি সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা ও বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনি চাকমা।

তিন দিন ব্যাপী কর্মশালায় তিন পার্বত্য জেলা থেকে বিভিন্ন সংগঠনের আদিবাসী নারীরা অংশ গ্রহন করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী নারীদের ক্ষমতায়নের স্বার্থে রাঙামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ি সার্কেলে প্রতিটি মৌজায় নারী কার্বারী (গ্রাম প্রধান) নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে চাকমা সার্কেলের অধীনে ১২০ জন নারী কার্বারী নিয়োগ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকীগুলোতে নিয়োগ করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত