বান্দরবানের রুমা ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সেপ্রু পাড়া থেকে দুই পর্যটকসহ ৩জন অপহরনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ আরও ৩জনকে আটক করেছে সেনা বাহিনী। আটকৃতরা হলেন,বিলাইছড়ি ছড়ি উপজেলার বড় থলি ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়ংরুং ম্রো,ছুংছুং পাড়ার বাসিন্দা মেনপ্রু ম্রো এবং রিংরাও ম্রো।
জানা যায়,শনিবার বিলাইছড়ির জারুলছড়ি ছুংছুং পাড়া ক্যাম্পের সেনা বাহিনীর একটি দল তাদের আটক করার পর বান্দরবান সেনা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে।
রাঙামাটি উপজেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ৪নং বড় থলি ইউপি চেয়ারম্যান আতু মং মার্মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,পর্যটকসহ ৩জনকে অপহরনের ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ ৩জনকে আটক করেছে সেনা বাহিনী।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান,অপহরনের সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনা বাহিনী ৩জন ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজনকে আটক করেছে। তবে এ ব্যপারে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১৪ অক্টোবর সেনা বাহিনী অভিযান চালিয়ে অপহরন ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত পাছিং কারবারীসহ ৫জনকে আটক করেছে। তাদের বর্তমানে বান্দরবান গোয়েন্দা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই নিয়ে অপহরনের ঘটনায় মোট ৮জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর ঢাকা মিরপুরের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ির ও মোঃ জাকির হোসেন মুন্না নামে দুই পর্যটক স্থানীয় গাইড মংসাই ম্রোকে নিয়ে বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা রাঙামাটির বিলাইছড়ি বড়থলি পাড়ার নতুন পুকুর পাড় এলাকায় বেড়াতে গিয়ে অপহরনের শিকার হন। অপহরন ঘটনার পর থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে সেনা বাহিনী ও বিজিবি পুরো এলাকায় কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে আসছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.