পর্যটক অপহরণের ঘটনায় বান্দরবানে পর্যটন সংখ্যা কমে গেছে!

Published: 12 Oct 2015   Monday   

বান্দরবানের রুমা উপজেলা ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী  সেপ্রু পাড়া থেকে দুই পযর্টকসহ তিন জনকে অপহরনের ঘটনার পর বান্দরবানের পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। পর্যটক না আসায়  বান্দরবানে পর্যটন ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দেশী-বিদেশী পর্যটক না থাকায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে জেলার হোটেল-মোটেল, রির্সোটগুলো। লোকসানীর আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর এ মৌসুমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বান্দরবানে পর্যটন স্পটগুলোতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ও বিদেশী পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লেগে থাকে। কিন্তু ঢাকায় বিদেশী হত্যাকান্ড ও বান্দরবানে পর্যটক অপহরণের ঘটনায় আশংকাজনক হারে বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। পর্যটক না থাকায় সবচেয়ে বেশি লোকসানী গুনতে হচ্ছে হোটেল-মোটেল, রিসোর্টের মালিকদের। পর্যটকের আনাগোনা কমে যাওয়ায় লোকসানের মূখে পড়েছে পরিবহরণ ব্যবসায়ীরাও। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকরা। এতে হোটেল-মোটেল সবই ফাঁকা পড়ে রয়েছে।  অলস সময় কাটাচ্ছেন পর্যটন স্পটগামী পরিবহণ শ্রমিকেরা।

বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঢাকায় দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডের কারণে বিদেশি পর্যটকরা বান্দরবানে আসছে না। এবং বান্দরবানের রুমা উপজেলা ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী  সেপ্রু পাড়া থেকে দুই পযর্টকসহ তিন জনকে অপহরনের ঘটনার পর দেশীয় পর্যটকদের সংখ্যা কমে গেছে। তবে এখানকার আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই জুরালো ভুমিকা পালন করছেন।

বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল. এস এম ওয়ালিউর রহমান জানান, বান্দরবানের সৌন্দর্য্যের আকৃষ্ট হয়ে এ মৌসমে অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু এখানে নিরাপত্তার বিষয়টি বিজিবি সদস্যদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যে সমস্ত পর্যটকরা আসেন তাদের জন্য নিবন্ধিত গাইড যারা রযেছেন সেই সব নিবন্ধিত গাইডদেরকে সিভিল প্রশাসক থেকে একটি গাইডবই আকারে বের করে তাদের কাছে বিতরন করা হয় এবং নিবন্ধিত গাইড ছাড়া অন্য স্থানে ভ্রমন করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া পর্যটকরা গাইড নিয়ে যে সমস্ত পর্যটন স্পটে যাবেন সেখানকার স্থানীয় বিজিবির ক্যাম্পে রেজিষ্টেশন করা হলে তার তথ্য  জানা   থাকলে তাহলে  পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়া সহজ হতো।  বিশেষ করে বান্দরবানের সব চাইতে আকর্ষনীয় পর্যটন সস্পট তিন্দু, বড় পাথর, রেমাক্রী, নাফাকুম, পদ্ধঝিরি, নীলগিরি এই জায়গা গুলোতে যদি পর্যটকরা অবস্থান করেন তাহলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া বিজিবির জন্য সহজ হতো।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর  ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ জুবায়ের(২৬) ও জাকির হোসেন মুন্না(৩৪)  নামের দুই পর্যটক বান্দরবানে রুমা উপজেলায় যান। পরের দিন রুমার উপজেলার স্থানীয় গাইড মাংছাই ম্রো (৩২)-কে সাথে দুই পর্যটক রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বড়থলী  ইউনিয়নের নতুন পুকুর দেখার উদ্দেশ্য রওনা হন। ওই দিন বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের ত্রি-দেশীয় সীমান্তবর্তী এলাকা বড়থলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সেপ্রু পাড়ার নতুন পুকুর এলাকায়  পৌঁছলে ৪ থেকে ৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত