বান্দরবানের রুমা উপজেলা ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সেপ্রু পাড়ার নতুন পুকুর এলাকা থেকে দুই পর্যটকসহ অপহৃত তিন জনকে অপহরনের ৭ দিনেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ঢাকার মিরপুর থেকে আব্দুল্লাহ জুবায়ের(২৬) ও জাকির হোসেন মুন্না(৩৪) নামের দুই পর্যটক বান্দরবানে রুমা উপজেলায় যান। পরের দিন রুমার উপজেলার স্থানীয় গাইড মাংছাই ম্রো (৩২)-কে সাথে দুই পর্যটক বান্দরবানের রুমা উপজেলা ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়থলী ইউনিয়নের নতুন পুকুর দেখার উদ্দেশ্য রওনা হন। ওই দিন বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের ত্রি-দেশীয় সীমান্তবর্তী এলাকা বড়থলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সেপ্রু পাড়ার নতুন পুকুর এলাকায় পৌঁছলে ৪ থেকে ৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এদিকে দুই পর্যটকসহ তিনজনকে অপহরন ও তাদের মুক্তিপন বাবদ ৫০লাখ টাকা দাবী করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সুত্র ও অপহৃতদের পরিবারের লোকজন। তবে অপহরনকারী দল থেকে অপহৃতদের মুক্তিপন বাবদ ৫০লাখ টাকা দাবী করার ঘটনার কোন সত্যতা পাননি প্রশাসন। এমনকি কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের অপহরন করেছে কেউ এখনো পর্যন্ত দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানায়, ঢাকা মিরপুরের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ির ও মোঃ জাকির হোসেন মুন্না ২০১২ সাল থেকে তারা প্রায় সময় বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাছিং পাড়ায় যাওয়া আসা করত। এই দুই জনের সাথে পাছিং পাড়ার লোকজন এবং পাড়ার র্কাবারী(পাড়া প্রধান) এর সাথে ঘনিষ্ট সর্ম্পক রয়েছে। এমনকি তারা একবার ঐ পাড়ায় গেলে ১৫/২০দিন পর্যন্ত অবস্থান করত। অপহৃত পর্যটক মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ির ও মোঃ জাকির হোসেন মুন্না প্রায় সময় পাছিং পাড়ার লোকজনকে অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা করতেন।
বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী,বিজিবি ও পুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যেহেতু সংঘটিত অপহরনের স্থানটি বান্দরবান জেলায় পড়েনি স্থানটি রাঙামাটি জেলার আওতায়। তাই বান্দরবান পুলিশের করার কিছুই নেই।
তিনি আরও জানান,দুর্গম পাহাড়ী এলাকার সব জায়গায় নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব না। কিন্তু কিছু পর্যটক অতি উৎসাহী হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমতি না নিয়ে এবং তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিপদজনক ও অনিরাপদ এলাকায় চলে যায়। ফলে এসব দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.