বরকলের আন্দারমানিকে একটি সেতুই বদলে দিতে পারে চার গ্রামের জীবনযাত্রা

Published: 20 Sep 2015   Sunday   

রাঙামাটির বরকল উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের আন্দারমানিক,দজর আদাম,গুইছড়ি ও কালাপুনাছড়ার যাতায়াতে প্রধান অবলম্বন হচ্ছে একটিমাত্র বাঁশের সাকোঁ। আর এ চার গ্রামের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা গ্রহনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে আন্দারমানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু একটি পাকা সেতুর অভাবে জরাজীর্ণ এ সাকোঁ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে  যেতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এছাড়া এ সেতু দিয়ে এলাকার মানুষের যাতায়াতসহ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে হয়। তাই একটি সেতুই বদলে দিতে পারে চার গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা।

জানা যায়, বরকল উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের দজর আদাম,গুইছড়ি,কালাপুনাছড়া মুখ ও আন্দার মানিক এ চার গ্রামের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা গ্রহনের জন্য রয়েছে একমাত্র  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আন্দার মানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এছাড়া চার গ্রামের মানুষের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতসহ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ হচ্ছে এ বাশেঁর সাকোঁটি। একটি পাকা সেতুর অভাবে চার গ্রামের লোকজন যুগ যুগ ধরে অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বাঁশের সাকোর পরিবর্তে পাকা সেতু হলে চার গ্রামের মানুষের অসহনীয় দূর্ভোগ কমার পাশাপাশি সার্বিক জীবনমান উন্নত হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে সেতু নির্মানের জন্য দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।  

আন্দারমানিক গ্রামের মেম্বার শান্তি কুমার চাকমা জানান, এ ইউনিয়নের জন্য যে অর্থবরাদ্দ  দেয়া হয় তা দিয়ে এতো বড় সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয় তাদের। ফলে এ চার গ্রামের মানুষ নিজেরা অর্থ সংগ্রহ করে বাশেঁর সাঁকো তৈরী করে চলাচল করছে। সরকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অংকের অর্থ দিয়ে পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে চার গ্রামের প্রায় হাজারের অধিক মানুষের চলাচলে ও উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ পাবে।

আইমাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামরতন চাকমা জানান, একটি সেতুর অভাবে চার গ্রামের মানুষদের দীর্ঘ দিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতো বড় পাকা সেতু করা তার ইউনিয়ন পরিষদের সামর্থ্য নেই। জেলা পরিষদ কিংবা উন্নয়ন বোর্ড থেকে সহযোগিতা পেলে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব। দূর্গম এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে মালামাল পরিবহনে সমস্যা থাকলেও জুন মাসের পরে নদীতে পানি থাকার সময় মালামাল নিয়ে গেলে সেতুটির কাজ করা সম্ভব বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। তার মতে এ এলাকায় পাকা সেতুটি নির্মাণ করা গেলে দুর হবে চার গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত