মঙ্গলবার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সনাক-টিআইবি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক)- টিআইবি’রজেলা কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের সভা কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমা। সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আরএমও ডাঃ নুয়েন খীসা, নার্স,ডাক্তারবৃন্দ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সনাক রাঙামাটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সনাকের সভাপতি চাঁদ রায়, সহ-সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, সনাক সদস্য সুস্মিতা চাকমা ও মিহির বরণ চাকমা, স্বজন সদস্য রাজীব চাকমা ও মুজিবুল হক বুলবুল এবং ইয়েস , ইয়েস ফ্রেন্ডস এবং টিআইবি রাঙামাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন টিআইবি রাঙামাটির সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) ওয়াছিমুর রহমান সায়েম।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমা বলেন, তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে কিন্তু সবাইকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। সেবার মানসিকতা, জনবল এবং লজিস্টিক সাপোর্ট থাকলে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করা সম্ভব।
সনাক সভাপতি জনাব চাঁদ রায় বলেন তারা মূলত সেবা গ্রহীতা ও হাসপতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরীর কাজ করছেন যাতে সেবা গ্রহীতারা তাদের সন্তোষজনক সেবা পায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জনাব নূয়েন খীসা বলেন, জনবল সংকটের কারনে আগত রোগীদের দ্রুত সেবা দান করা সম্ভব হচ্ছে না, হাসপাতালে ৩৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে ১২জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। মাত্র ১২ জন চিকিৎসক নিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা কষ্টকর।
কনসালট্যান্ট হেনা বডুয়া ও মোঃ আব্দুল হাই বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারনে আউটডোর ও জরুরী বিভাগে আগত সকল রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। তাদের সীমাবদ্ধতা সত্বেও গরীব রোগীদের চিকিৎসায় অধিকতর সেবার জন্য দরিদ্র তহবিল গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় সভায় সভার উদ্দেশ্য বর্ণনায় টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার জানান, হাসপাতালে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতা যাতে অধিকতর উন্নত ও সন্তুষ্টির সাথে সেবা গ্রহণ করতে পারে এবং হাসপাতালের অভ্যন্তরীন সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
সভায় হাসপাতালে আগত ব্যক্তিরা হাসপাতালের গেটে মোটরসাইকেল রাখায় সেবাগ্রহীতাদের যাতয়াতের বিঘ্ন ঘটে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট স্থানে মোটর সাইকেল রাখার ব্যবস্থা করবে, হাসপাতালের টিকেট কাউন্টার অনুসন্ধান কেন্দ্রের কাজ করা এবং টিআইবি’র ইয়েস সদস্যদের আগত রোগীদের মাঝে সচেতনতা তৈরীর ক্ষেত্রে নিয়মিত কাজ করবে আলোচনায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.