বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এক সরকারী শিক্ষকের বদলীর স্থান মিলছে না কোন বিদ্যালয়ে! পান্না দাশ নামে এই শিক্ষকের বদলী নিয়ে বিব্রতাবস্থায় পড়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। কোথাও বদলীর স্থান মিলছেনা ওই শিক্ষকের! গ্রহণ করতে চাইছে না কোন বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা। এই নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, পান্না দাশ বেতছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার দাপট, কমস্থর্লে ফাঁকি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ও এলাকাবাসীদের জোরদাবিতে বেতছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বড়ইতলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরাও মেনে নেয়নি তাঁকে। এ অবস্থায় গত ১৬ জুন কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে তাড়িয়ে দেয় বড়ইতলী পাড়াবাসীরা। এরপর ১৭ তারিখ নিজস্ব বাহিনী নিয়ে জোড়পূর্বকভাবে যোগদান করতে যায় ওই শিক্ষক। পাড়াবাসীরা তাও প্রতিরোধ করে। এই নিয়ে চলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিরক্ত আর অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভায় গৃহিত প্রস্তাব অনুযায়ী বেতছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক পান্না দাশকে একই ইউনিয়নের বড়ইতলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পৃথকভাবে বদলি আদেশ জারি করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যার স্মারক নং পাজেপ-২১/২৩৫/০০৫/৩৩/০৯/০৮৭ (অংশ-১) ২০১১-৫৩০ তাং-০৯/০৬/১৪ এবং জেপ্রাশিঅ/বাবান/১১৭/৬৩৯/৬-১১/০৬/১৪। আদেশে বলা হয় ১৫ জুনের মধ্যে পান্না দাশকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৬ জুন কর্মস্থলে যোগদান করতে যায় পান্না দাশ। কিন্তু পাড়াবাসীদের বাধারঁ মুখে তিনি কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। যোগদান করতে না পারায় রাগে-ক্ষোভে তিনি পাড়াবাসীদের অকথ্য গালিগালাজ ও মামলা হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাড়াবাসীরা ।
বড়ইতলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চিংসামং মারমা বলেন, বির্তকিত ওই শিক্ষিকার অতীতে বিভিন্ন খারাপ কার্যকলাপের কারনে পাড়াবাসীরা তাকে (পান্না দাশ) চান না। ওই শিক্ষক ছাড়া অন্য যে কাউকে তাঁরা গ্রহন করবেন।
ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক মেসাংথুই মারমা বলেন, ওই শিক্ষিকা থাকলে আমরা ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাব না।
অভিযুক্ত ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক পান্না দাশের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সালাহ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক পান্না দাশের ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ সমস্যার কোন সমাধান করতে পারছেননা তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে জেলা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.