রোববার রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনার সভার মধ্য দিয়ে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্যাঞ্চল শাখার উদ্যোগে টিআইবি`র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)রাঙামাটির সহযোগতিায় রাঙামাটি পৌর সভা চত্বরে আদিবাসী দিবসের বেলুন উড়িয়ে উদ্ধোধন করেন জাতিসংঘের আদিবাসী স্থায়ী ফোরামের সদস্য চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। প্রধান অতিথি ছিলেন ২৯৯নং আসনের সাংসদ উষাতন তালুকদার। আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, সদর উপজেলা পরিষদেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীতা চাকমা,টিআইবি`র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)রাঙামাটি শাখার সভাপতি চাদ রায়,মানববেন্দ্র নারায়ন লারমা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিজয় কেতন চাকমা। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্যাঞ্চল শাখার সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদার।
আলোচনা সভা শেষে পৌর চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালী জেলা শিল্পকলা একাডেমী কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে আদিবাসী নারী-পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এবং বিভিন্ন দাবী-দাওয়া সম্বলিত পেষ্টুন নিয়ে অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন না করায় ক্ষোভ করে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন ও সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উষাতন তালুকদার এমপি বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা থাকলেও তার আশেপাশে থাকা ঘাপটি মেরে থাকা চুক্তি বিরোধীদের কারণে চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত হতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি বাঘ রক্ষার জন্য বাঘ দিবস পালন করতে পারে কেন আদিবাসীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী দিবস পালন করতে পারে না। তাহলে কিন আদিবাসীরা মানুষ হয়ে হয়েও পশুর চেয়ে অধম হলো। যা লজ্জার বিষয়। তিনি আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে আগামী বছর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আদিবাসী দিবস পালন এবং পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের দাবী জানান।
চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, আদিবাসীদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দেয়া সরকারের বৈষম্যমূলক আচরনের কারণ। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা আশা ছেড়ে দেয়নি। কারণ তার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। , তিনি বলেন,দেশের আদিবাসীরা এখন তাদের অধিকার আদায়ে একাতারে পৌঁছেছেন। তাই আদিবাসীদের সোচ্ছার হয়ে বাস্তবভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.