কাপ্তাই হ্রদের দ্রুত ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া দরকার-উষাতন তালুকদার এমপি

Published: 28 Jul 2015   Tuesday   

রাঙামাটি আসনের নির্বাচিত সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদে পালি জমে চরম হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এতে একদিকে হ্রদের মৎস্য চাষ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন নাজুক হয়ে উঠেছে তেমনি কাপ্তাই বাঁধ চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। তাই এ হুমকি মোকাবেলায় দ্রুত কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

মঙ্গলবার রাঙামাটিতে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জেলা শিল্পকলা মিলনাতনে অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্য বিভাগের আহ্বায়ক সাধন মনি চাকমা প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হান্নান মিয়া।

এর আগে একটি র‌্যালী জেলা মৎস্য দপ্তর থেকে শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে কাপ্তাই হ্্রদের জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

ঊষাতন তালুকদারএমপি তার বক্তব্যে কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মৎস্য বিভাগসমূহকে আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরনের উপর যে রাজস্ব আদায় দেখানো হয় তাতে শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। মাছ আহরনের উপর প্রকৃত রাজস্ব আদায় দেখানো হলে এ আয় আরও বাড়তো। তিনি এ প্রসঙ্গে কাপ্তাই ফিসারী প্লটুন বন্ধ করে দিয়ে কাপ্তাইসহ অন্যান স্থানগুলোর থেকে আহরিত মাছ এককভাবে রাঙামাটি ফিসারী প্লটুনে অবতনের নিয়ম চালু করার জন্য প্রস্তাব দেন। তিনি মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে রাঙ্গামাটির শুভলংয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েক মন মাছ শিকার হয়েছে উল্লেখ করে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে এভাবে ডিমওয়ালা মাছ শিকার করা হলে তা দেশের ও মানুষের জন্য অপরিনীয় ক্ষতি। তিনি কাপ্তাই হ্রদে ঝাঁক দিয়ে ও কেচকি জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করতে মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। মাছ শিকার বন্ধকালীণ সময়ে যাতে কেউ অবৈধভাবে মাছ শিকার না করে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি পার্বত্য এলাকায় মাছের উৎপাদন বাড়াতে ক্রিকের মাধ্যমে মাছ চাষ পদ্ধতির প্রসংগ তুলে ধরে বলেন ক্রিকের মাধ্যমে মাছ চাষ পার্বত্য এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এই মাছ চাষকে আন্তরিকতা আর পরিশ্রম দিয়ে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, স্বপ্ন আর প্রতিজ্ঞা থাকলে মাছ চাষীদের সফলতা অবশ্যই আসবে। তিনি রাঙ্গামাটির বেশ কজন মাছ চাষীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন মাছ চাষ করে জাতীয় ভাবে পুরস্কার প্রাপ্তি রাঙামাটি বাসীর জন্য গৌরব। এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত