লামায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত, এখনো পানি বন্দি হাজার হাজার মানুষ

Published: 27 Jul 2015   Monday   

বান্দবানের লামা উপজেলায় টানা তিন দিনের ভয়াবহ বন্যার পানি কমলেও ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে তেমন কাউতে দেখা যায়নি। নিম্নাঞ্চলের হাজার মানুষ এখনো পানি বন্দি রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা সদরের সাথে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে চার দিন ধরে।

২৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত টানা তিন দিনের স্থিত বন্যায় লামা উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। তিন শতাধিক ঘরবাড়ি পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ পিলার পড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ব্রিজ, কালভাট, রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এক মাসে পর পর দু’বার বন্যায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে লামা বাজারের ব্যবসায়ীরা। সরকারী ও বেসরকারী অফিস, আদালত, হাসপাতাল, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা বন্যার কারণে অবকাঠামোর চরম ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর পাহাড় ধসের কারণে লামা সদরের সাথে এখনো যাতায়ত বিচ্ছিন্ন রয়েছে।পাশা পাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে গত ৪ দিন ধরে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ব্যাক্তি মালিকানাধীন তৈয়ব আলী মৎস্য প্রকল্প (গোদা) শ্রাবণের টানা বর্ষনের কারণে বন্যার তৃতীয় দিনে পাহাড়ের পানি ও বন্যার পানি পুকুরে প্রবেশ করে বাধঁ ও ড্রেন ভেঙ্গে লাক্ষাধিক টাকা ক্ষতি গ্রস্থ হয়। এছাড়া উপজেলায় পাঁচ শতাধিক মৎস্য খামার বন্যার পানিতে ডুবে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয় বলে লামা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

লামা পৌরসভার মেয়র আমির হোসেন ও লামা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহিদ আকতার পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে পানি বন্দিদের মাঝে শুকনা খাবার বিলি করা হচ্ছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত