রাঙামাটি সদর উপজেলার ঝগড়াবিল মৌজার খেপ্যেপাড়াস্থ লেমুছড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ১ শিশুসহ ২ জন নিহত ও অপর ২ জন আহত হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা আশুতোষ তালুকদার ওরফে সুপ্রিয়(৫০) ও ১০ বৎসরের শিশু ছেলে অর্নব চাকমা অরণ্য। আহতরা হলেন মিমি চাকমা(২৮) ও মলয় চাকমার ছেলে চিক্কাে চাকমা(১৩)।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার গভীর রাতে রাঙামাটি সদর উপজেলার ঝগড়াবিল মৌজার খেপ্যেপাড়াস্থ লেমুছড়ি এলাকায় মলয় চাকমা বাড়ীতে প্রবেশ করে সাবেক শান্তি বাহিনীর সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা আশুতোষ তালুকদার ওরফে সুপ্রিয়কে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে আশুতোষ তালুকদার ও তার পাশে থাকা ১০ বছরের শিশু ছেলে অর্নব চাকমা অরণ্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এসময় মলয় চাকমার ভাইয়ের মেয়ে মিমি চাকমা(২৮) ও তার ছেলে চিক্কাে চাকমা(১৩) আহত হয়। চিক্কো চাকমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সূত্র জানায়,ঘটনার সময় বাড়ীর মালিক মলয় চাকমা বাড়ীতে ছিলেন না। নিহত অর্ণব চাকমা আহত মিমি চাকমার ছেলে। নিহত আশুতোষের বাড়ী শহরের তবলছড়িস্থ আনন্দ বিহার এলাকায়। তার বাবার নাম রমেশ তালুকদার। অর্ণব ও তার মা মিমি চাকমা জুড়াছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া ইউনিয়নের শুনকাছড়ি গ্রাম থেকে কিছু দিন আগে মলয় চাকমার বাড়ীতে এসেছিলেন। তবে কি কারণে তাদের উপর এ হামলা করা হয়েছে তার বিস্তারিত এখনো কিছুই জানা যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহসম্পাদক সজীব চাকমা জানিয়েছেন এ ঘটনার কোন তথ্য তাদের কাছে জানা নেই। এবং জনসংহতি সমিতির কোন সদস্য নিহত হয়নি।
কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকায় তল্লাশী চালাচ্ছেন। তবে এখনো পর্ষন্ত(বিকাল ৪টা) কোন লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান জানান, ২ জন মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে সেনা বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তারা ফিরে আসলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.