বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৫৫ জন বাংলাদেশীকে হস্তান্তর

Published: 22 Jul 2015   Wednesday   

১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ঘুমধুম বিওপি’র আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত পিলার-৩০/১ এর সন্নিকটে প্রতিপক্ষ মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, মংডু ডিষ্ট্রিক্ট এর সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা  গেছে, অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ রবিউল ইসলাম এবং মিয়ানমার পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের  ইমিগ্রেশন বিভাগের  ডেপুটি ডিরেক্টর সো নেইং। এয়াড়া বৈঠকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রতিনিধি এবং ইমিগ্রেশন প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে মিয়ানমার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এবং মিয়ানমার স্থানীয় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

সূত্র জানায় বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধানগণ প্রথমে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাম্প্রতিককালে সাগর পথে মানব পাচারের শিকার হয়ে যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক মিয়ানমারে আটকবস্থায় রয়েছেন তাদের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাচাইকৃত ১শ৫৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে  মঙ্গলবার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে প্রত্যাবাসন করা হয় এবং তাদেরকে বিজিবি কর্তৃক কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন বিভাগের উপস্থিতিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিকট  থেকে  গ্রহণ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য হস্তান্তর করা হয়। উক্ত পতাকা বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বৈঠক সূত্রে জানা  গেছে।

১৭ বিজিবি’র পক্ষে উপ অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, উক্ত বৈঠকে উভয় দেশের পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের পক্ষে কর্ণেল এম.এম. আনিচুর রহমান (পিএসসি) ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল, সেক্টর কমান্ডার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কক্সবাজার সেক্টর এবং মিয়ানমারের পক্ষে পুলিশ লেঃ কর্ণেল কেউ তে জ, কমান্ডিং অফিসার (০১) বিজিপি তেউং পেও লেপ্ট, মিয়ানমার।

উল্লেখ্য, ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে ভাসমান অবস্থায় দেশটির নৌ বাহিনী ৭২৭ জন অভিবাসীদের উদ্ধার করে। এদের মধ্যে যাচাই বাচাই করে ১৫৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে সনাক্ত হয়।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত