সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা যোগাযোগ, উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক--প্রধানমন্ত্রী

Published: 14 Jul 2015   Tuesday   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা যোগাযোগ, উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে আমরা যখন শান্তি চুক্তি সম্পাদন করছিলাম তখন বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল দিয়ে তা বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল না হওয়ায় এটিকে বানচাল করার জন্য বহু চেষ্টা করেছে। তিনি  আরও বলেন,আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়ের জনগনের যোগাযোগ ও উন্নয়নের যে অভুত সাধিত হয়েছে তার সুফল এখন পার্বত্যবাসী ভোগ করছে।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ সড়ক বান্দরবানের থানচি-আলীকদম সড়ক উদ্ধোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

উদ্ধোধনকালে এ সময় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি  ছাড়াও সেনাবাহিনীর চট্রগ্রামের এরিয়া কমান্ডার শফিক, বিভাগীয় কমিশনার, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী পিএসসি,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াহেদ, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের যুগ্ন সচিব মোঃ সফিকুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ৩৫ কিলোমিটার থানচি-আলীকদম সড়কের উদ্ধোধন করেন। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারনে  বান্দরবান আসতে না পারলেও অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বান্দরবান সফর করবেন। তিনি দেশের সুউচ্চ  থানছি-আলীকদম সড়কটি কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করায় সেনাবাহিনীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,এ সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার ফলে যেমন পর্যটকসহ এলাকার জনগন উপকৃত হবে তেমনি সীমান্তবর্তী জনপদে অভুত পুর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। 

পার্বত্য  প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি  প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বান্দরবানের জনগন চির দিন আপনার কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ থাকবে। তিনি বান্দরবানে একটি কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করলে প্রধানমন্ত্রী তা গ্রহন করে অচিরেই তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

উল্লেখ্য ১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল শাখা ১৬ ও ১৭ ইসিবি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে থানছি-আলীকদম সড়কটি কের। সড়কটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতা হওয়া কারনে দেশের তথা দক্ষিন এশিয়ার উচ্চতম সড়কে  পরিণত হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত