বান্দরবানের লামা উপজেলায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে দুদিন পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট এবং শহরের কিছু কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাস্তা ঘাটে ময়লা আর্বজনা ও পলি মাটির স্তুপে মানুষের চলাচলে মারাত্মক দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, টানা বর্ষনের ফলে বন্যায় দুর্গত লোকজনদের মাঝে রোববার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কেজি করে ৯শ জনকে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম উদ্ভোধন করেন, বান্রবান জেলা প্রশাসক প্রতিনিধি সহকারী জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারুক আহাম্মেদ। এ সময় লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খালেদ মাহমনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ আমির হোসেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম ও লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বাথোয়াইচিং মার্মা। এ সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ১৮ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য এবং ১০ হাজার টাকা লামা পৌর সভা কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। লামা পৌরসভা এবং একতা মহিলা সমিতির উদ্যেগে শহরের প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে ও বন্যায় পানিবন্দীদের মাঝে দুপুরে খেচুরী বিতরন করে।
অন্যদিকে, ধীরগতিতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। একটানা প্রবল বর্ষনে পাহাড় ধসে লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় ১৪ হাজার ২শ’ ৬০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা যায়।
লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ আমির হোসেন জানান, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত বন্যা দূর্গতদের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। ত্রাণ সাহায্যর র্কাক্রম অব্যাহত থাকবে। রাস্তাঘাটে ময়লা আর্বজনা ও পলি মাটির স্তুপ সরানোর কাজ চলমান রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.