রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া চায়েরী বাজার-লক্ষীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়ক নির্মানের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা টংগ্যার সহযোগীতায় বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, টংগ্যার নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর প্রকল্প সমন্বয়কারী দয়াল কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ক্ষতিগ্রস্থ ১৬ জনকে ক্ষতিপূরনের অর্থ হিসেবে ৫লাখ ২৯ হাজার ২শত ৪৮টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এদের মধ্যে আরেশি মারমাকে ১লক্ষ ১৪ হাজার ৬শত ৬০টাকা, মন্টু মারমাকে ৩৪হাজার ২০টাকা, উচিংথোয়াই-(১) মারমাকে ৬৪হাজার ৬শত ৮০টাকা, হ্লাথোয়াই মারমাকে ২লক্ষ ৪৭হাজার ৬শত ৯৫টাকা, উচিংথোয়াই-(২) মারমাকে ৪হাজার ৫০টাকা, প্রতুল মারমাকে ৫হাজার ৮৫টাকা, ক্যাজাইপ্রু মারমাকে ৫হাজার ৮শত ৫০টাকা, য়ংথোয়াইউ মারমাকে ৪হাজার ৭শত ২৫টাকা, উজাইশি মারমাকে ৪হাজার ৫০টাকা, লাজাউ মারমাকে ৬হাজার ৩শত টাকা, থোয়াইছয়াং মারমাকে ১৪হাজার ২শত ৫৬টাকা, মংশৈহ্লা চৌধুরীকে ৬হাজার ৯শত ৫২টাকা ৫০পয়সা, মাউচিং মারমাকে ৩হাজার ৮শত ২৫টাকা, নিংচাই উ মারমাকে ৭হাজার ২শত টাকা, হ্লাসাংপ্রু মারমাকে ৪হাজার ৯শত ৫০পয়সা এবং পাইধুঅং মারমাকে ৯শত ৯৯টাকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে যোগাযোগ। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন না হলে এলাকার উন্নয়ন হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হয়। তাই সমাজ তথা এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা চিন্তা করে যেসব ব্যক্তি সড়কের জন্য জায়গা ছেড়েছেন তা এলাকাবাসী সবসময় মনে রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এ সড়ক নির্মানের মাধ্যমে এলাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে এনে প্রকৃত মূল্যে বিক্রী করতে পারবে। তিনি এডিবি কর্তৃক পাওয়া টাকাগুলো উচ্চ বিলাসী পন্য না কিনে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.