খাগড়াছড়িতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ৫ দিনের আদিবাসী নাট্য উৎসব।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’র উদ্যোগে ইনস্টিটিউটের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে নাট্য উৎসবের উদ্ধোধন করেন খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে পরিবেশিত হবে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সাঁওতাল ভাষার মোট ৮টি নাটক।
এসব নাটকের ভাষা, রচনা, নির্দেশনা, পরিচালনা ও অভিনয়ের সবক্ষেত্রে স্ব স্ব আদিবাসীদের স্থানীয় কলাকুশলীরাই সক্রিয় ভূমিকাই থাকবেন।
নাট্য উৎসবের মুল উদ্যোক্তা গবেষক জীতেন চাকমা জানিয়েছেন, য়ামুক থিয়েটারের ‘অজন’, দীঘিনালা হিল ফিল্মের ভূত, রাঙামাটি জুম ঈসথেটিক কাউন্সিল (জাক)-র ‘ফিরিই’, সিন্দুকছড়ি পাঙ্খুং আফোয়ের মারমা গীতিনাট্য ‘ভদ্র মা:সা’,পানছড়ি সাঁওতাল নাট্য গোষ্ঠির ‘বাপলা’, হিল কালচারাল অর্গানাইজেশনের ‘সাদাঙা মা’ ও ‘রাধামন ধনপুদি’ এবং মারমা শিল্পী গোষ্ঠির ‘লুচাখ্রাং’ পরিবেশিত হবে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক কবি সুসময় চাকমা জানান, এটি প্রতিষ্ঠানের প্রথম উদ্যোগ। সরকার ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনায় এটি শুরু হলো। এর মাধ্যমে পাহাড়ে নাট্যচর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা জানান, বর্ণাঢ্য এই উৎসবে প্রথমবার উৎসবের প্রতিটি নাটক সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে এ ধরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রায় ২২ বছর পর। বিগত ১৯৯৩ সালে খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচিত প্রথম মেয়র জাহেদুল আলমের সময়কালে তাঁর উদ্যোগে খাগড়াছড়ি থিয়েটার নামে একটি উৎসব আয়োজন করা জয়েছিল ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.