রাঙামাটির বরকল সদর কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে ৩০তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শনিবার ধর্মীয় ভাব গম্ভির্যের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।বরকল সদর কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বরকল জুরাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি ও বাঘাছোলা জ্ঞানদ্বয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বোধি প্রিয় মহাথের। অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্ম দেশক ছিলেন রাঙামাটির মৈত্রী বিহারের উপাধ্যক্ষ পঞঞাদীপা স্থবির।এছাড়াও বরকল সদর কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উঃসবর্ণ থের,হাজাছড়া সাম্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংঘপাল মহাথের,আইমাছড়া শাখা বন বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মচারা ভিক্ষুসহ ৩৩ জন ভিক্ষু শ্রমন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার বৌদ্ধ নারী-পুরুষ পূর্ণাথী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শরিক হন।দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল ত্রিশরণসহ পঞ্চশীল গ্রহন বুদ্ধ পুজা,বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপুরষ্কার দান, হাজারবাতি দান, কল্পতরু দান,কঠিন চীবরদান।বিকালে প্রদীপ প্রজ্জলন ও ফানুস বাতি উড়ানো হয়।প্রধান ধর্মদেশক পঞঞাদীপা স্থবির তার ধর্ম দেশনায় বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে জ্ঞানের ধর্ম। এ ধর্মকে জানতে বুঝতে ও প্রতিপালন করতে হলে জ্ঞানের প্রয়োজন। পৃথিবীতে মানব জাতি দুঃখের দাস। দুঃখকে জয় করতে হলে মানুষের তিনটি জিনিস লোভ, দ্বেষ ও মোহকে ত্যাগ করতে হবে। এ তিনটি জিনিসের কারনে মানুষ হিংসা বিদ্বেষ ও জঘন্য কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। লোভ দ্বেষ ও মোহকে পরিত্যাগ করতে পারলে তখনই জাগতিক সুখ ও নির্বাণ লাভ করা সম্ভব হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.