রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব ধরণের সংবাদ বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন কাউখালীতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা। শুক্রবার বিকালে কাউখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তরা জরুরী বৈঠক শেষে এ ঘোষনা দেন।
কাউখালী প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আরিফুল হক মাহবুবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জুয়েল, ওমর ফারুক ইকবাল। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কাউখালী উপজেলায় সরকার দলের সকল প্রকার সংবাদ বর্জন অব্যাহত থাকবে।
গত ১২ ও ১৩ মে বিভিন্ন দৈনিকে “ছয় কোটি টাকার মরণ ফাঁদ কাউখালী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন” প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ১৯ মে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এর জেরে সরকার দলের দুই ভূঁইফোড় কর্মী নাজিম উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম মনির উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। নাজিম উদ্দিন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনিরুল ইসলাম মনির উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকারের সহোদর।
প্রায় সোয়া ৬ কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মাণাধীন কাউখালী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের লাইন সম্প্রসারণের জন্য তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দের কাজটি পায় চট্টগ্রামের উত্তরা এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগ রয়েছে কোন অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজটি সাব-কন্ট্র্যাক্টে করছেন কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরমান এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু কাজ করছেন কাউখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ও ১১ মে দুই দফায় হাল্কা বাতাসেই ৩৩ কেভির দুটি ক্যাবল ছিড়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে। এরমধ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি পাইনবাগান এলাকায় ১১ কেভি ক্যাবল ছিড়ে দুজনের মৃত্যুর ফলে পুরো লাইনটি স্থানীয়দের কাছে মরণফাঁদ হিসেবে দেখা দেয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.