তীব্র তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্ধ হয়ে পড়ছে নৌ চলাচল । দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। কাপ্তাই হ্রদ পানি শুকিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটি জেলার ৮টি উপজেলার সাথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায় যাতায়াত ও পরিবহন করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলাবাসীদের।
অপরদিকে কর্ণফুলী পেপার মিলের ৮০ ভাগ বাঁশ ৮টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে হ্রদের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে হ্রদে পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বাঁশ পরিবহন বন্ধ হয়ে পড়ায় মিলে উৎপাদন সহায়ক কাঁচামাল সংকট দেখা দেওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে পর্যটন এলাকার বিভিন্ন ভ্রমন তরী, নৌকা, সামপান, ইঞ্জিন চালিত বোটগুলো ডাংগায় পড়ে অছে। অন্যদিকে পানি শুকানোর ফলে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। পাহাড়ী পল্লীর লোকজন সচেতনতার অভাবে ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত বিভিন্ন কুয়ার পানি পান করে ইতিমধ্যে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এলাকার লোকজন জানান, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন রিংঅয়েল ও টিউবঅয়েল বছরের পর বছর ধরে অকেজো পড়ে থাকায় এবং এগুলো মেরামত না করায় এলাকার লোকজন চলতি শুষ্ক মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে। বর্তমানে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। অনেকে এক কলসি বিশুদ্ধ পানি আনার জন্য কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেটে পানি আনছে বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান। এব্যাপারে কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় অত্র এলাকার বিভিন্ন স্থানে এমনিতে টিউবঅয়েলে পানি পাওয়া যায় না। তার উপর যেসব টিউবঅয়েলে পানি পাওয়া যেত গ্রীষ্মকালে ওই সমস্ত টিউবঅয়েলের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে পাহাড়ী এলাকার অধিবাসীদের দূর দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.