বান্দরবানে পুলিশের অভিযানে আটক ১২

Published: 10 May 2015   Sunday   

বান্দরবান শহর ও আশপাশের এলাকায় রোববার সকালে ও শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১২জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিকস ফ্রন্ট) নেতাসহ এক বাঙ্গালী যুবক গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদেরককে থানায় আনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে অভিযানের নামে নিরীহ জনগণকে আটক করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ পিসিজেএসএস’কে (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি) দায়ী করেছে। তবে পিসিজেএসএস তা অস্বীকার করেছে। 

 

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ইউপিডিএফের বান্দরবান শাখার সাধারণ সম্পাদক বিক্রম তঞ্চঙ্গ্যাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা স্থানীয় বাঙ্গালী যুবক মো: নাছিরও গুলিবিদ্ধ হয়। ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে সভাপতি ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বাদী হয়ে থানায় ২৫জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।


এদিকে, রোববার সকালে ও শনিবার রাতে জেলা শহর, কুহালং, রাজবিলা ও নোয়াপতং ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সুফল চাকমা, লুথোয়াই মং মার্মা, পুশৈসিং মার্মা, এটেন তঞ্চঙ্গ্যা, বাবুল তঞ্চঙ্গ্যা ও রাংগোলা তঞ্চঙ্গ্যা, আতুসে মার্মা, মনুপ্রু মার্মা, ক্যসাই মার্মা, মংসাথোয়াই মার্মা, নুথোয়াইমং মার্মাসহ মোট ১২জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফের সভাপতি ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা জেএসএস জড়িত বলে তিনি দাবি করছেন। তবে জেলা পিসিজেএসএসের সভাপতি উচ মং মার্মা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। সামনে পিসিপি’র (পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ) কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি বান্দরবানে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান সফল করতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইউপিডিএফ নেতারা নিজেরাই এই ঘটনা সাজাতে পারে। জেএসএস এর সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নয়।


অপরদিকে ইউপিডিএফের নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযানের নামে পুলিশ নিরীহ জনগণকে আটক করে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলা কুহালং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সানুপ্রু মার্মা ও রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মার্মা বলেন, ঘটনার সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু এখন ওই ঘটনায় আটকের নামে সাধারণ জনগণকে পুলিশ হয়রানী করছে।


হয়রানীর বিষয়টি পুলিশ অস্বীকার করে সদর থানা ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, তাদেরকে আটক করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত