কাপ্তাইয়ে গত রোববার রাতে এক পাহাড়ী নারী (৩৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ী বিলাইছড়ি উপজেলাধীন তারাছড়ি এলাকায়। গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর সাথে থাকা অপর এক নারীকে সন্ত্রাসীরা শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করেছে। সে কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার এলাকার অধিবাসী।
গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে উপজেলায় দুটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল ।
অভিযোগে জানা গেছে, রোববার সাড়ে ৯ টার সময় নির্যাতিত দুই পাহাড়ী নারী চিৎমরম এলাকার আত্মীয়ের বাসা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাযোগে কাপ্তাই যাওয়ার পথে ব্যাঙছড়ি বনফুল রেষ্টহাউস সংলগ্ন এলাকায় যাওয়া মাত্র সন্ত্রাসীরা অটোরিক্সার গতিরোধ করে জোর পূর্বক তাদের নামায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ী নারীদের টেনে হেঁছড়ে রেষ্টহাউস সংলগ্ন ছড়ায় নিয়ে গিয়ে একজনকে গণধর্ষন করে। সঙ্গীয় অপর পাহাড়ী নারীকে ধর্ষন করতে না পেরে তাকে শারীরিকভাবে ব্যাপক লাঞ্চিত করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই নারীরা রাতেই থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষনের সাথে জড়িত সন্দেহে ৫জনকে আটক করেন। আটকৃতরা হল, হাসান (৩৪), আবুল কালাম (৪৫), খোকন (২৮), বাবুল (২৭), মানিক (৩৯)।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই থানার ওসি হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেলের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল স্বামীর সাথে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসে ৬ লম্পটের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী (২০)। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল কাপ্তাইয়ে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.