পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়,ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নড়াইল জেলা সদরের নারায়ণপুর গ্রামে। কয়েক মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে রাঙামাটি শহরের শান্তিনগরের সালাউদ্দিনের সাথে। এতে শুরুতেই তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে পড়ে নড়াইল থেকে রাঙামাটির সালাউদ্দিনের কাছে চলে যায় ভুক্তভোগী মেয়েটি। পরে রাঙামাটি শহরের ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তিন দিন ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন চালান সালাউদ্দিন। শনিবার বিকালে নিজেকে বাাঁচাতে বন্দীঘর থেকে লাফ দিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয় কিশোরিটি। ওই সময় ঘর থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত সালাউদ্দিন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশে খবর দিলে ওই দিন রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সালাউদ্দিন। এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ী। ১৫ অক্টোবর কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে রাঙামাটিতে নিয়ে আসে সালাউদ্দিন। একটি ভাড়া বাসায় কিশোরীকে আটকে রাখে। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী কিশোরী জানিয়েছে সালাউদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেছে। কিশোরীকে রুমে আটকে রেখে ইয়াবা, গাঁজা সেবন করে তাকে নির্যাতন করত বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
কতোয়ালী থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় রোববার সকালে ধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে বর্তমানে থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.