রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার নাইল্যাছড়িতে শনিবার রাতে সামশুন নাহার নামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ দাবি করছে স্কুল ছাত্রী বিষপান করে আত্নহত্যা করেছে। চিকিৎসকের দাবী বিষপানের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্র ও প্রতিবেশীরা জানায়, উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের উত্তর নাইল্যাছড়ির জনৈক বাবুল মিয়ার কন্যা এবং নাইল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সামশুন নাহার(১২)। জনৈক বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রী কিশোরী কন্যা সামশুন নাহারকে প্রায় সময় মারধর করতো। শনিবার সন্ধ্যায় মারধরের পর তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ও খোকন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পর পর কিশোরীর আত্বীয়-স্বজনরা মৃত দেহ কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. মুরতুজা রশীদ দাবী করেছেন প্রাথমিকভাবে কিশোরীর বিষপানের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে কাউখালী থানার এস,আই গোলাম কিবরিয়া ও এস,আই সামশুজ্জমান দাবি বিষপানে ওই কিশোরী আত্নহত্যা করেছে। তবে ফলে একদিকে পুলিশ ও চিকিৎসকের ভিন্ন রকমের বক্তব্যে এবং কিশোরীর লাশ ফেলে রেখে অভিভাবকরা পালানোয় মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীলু কান্তি বড়ুয়া সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.