এ বছর পাহাড়ে দুই আড়ি জুমের ধান লাগিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই ধান পাকার শুরুর আগেই ঝাকে ঝাকে ইঁদুর এসে জুমের ধান সম্পূর্ণ নষ্ট দিয়েছে। কি করবেন কোন দিশাই খুজে পাচ্ছিলেন না। জাবারাং সংস্থার খাদ্য সহায়তা প্যাকেজ তাকে নতুন করে বেঁচে থাকার আশা জাগিয়েছে জানালেন সাজেকের দুর্গম অরুণপাড়ার দুলী ত্রিপুরা।
তিনি আরো জানান,তার স্বামী নেই। দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে তার সংসার। বড় মেয়ের পড়ালেখা পঞ্চম শ্রেণীর পর আর চালিয়ে নিতে পারেনি। ওই বছর কঠিন অসুখ হলে দীর্ঘদিন অসুস্থতা ভোগ করতে হয় এবং শেষে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় তার মেয়েকে।তিনি জানান, এ সহায়তার প্যাকেজ পেয়ে খুশী। তবে এ প্যাকেজ সামগ্রী নিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছাতে রাত ৭ থেকে ৮ টা লাগতে পারে। বিতরণ স্থান থেকে পায়ে হেঁটে আরও ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে।
স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও স্টার্ট নেটওয়ার্ক এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং কারিতাস বাংলাদেশ এর কারিগরী সহযোগিতায় স্থানীয় জাবারাং কল্যাণ সমিতির বাস্তবায়নে শনিবার থেকে ইঁদুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাজেক ইউনিয়নের মোট ৪৬৬টি ক্ষতিগ্রস্ত জুমিয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য প্যাকেজ বিতরণ শুরু হয়েছে। উক্ত প্যাকেজের আওতায় প্রতি পরিবারকে ২ মাসের খাদ্য প্যাকেজ সহায়তা দেওয়া হবে। প্রতি প্যাকেজে রয়েছে ৬০ কেজি চাউল, ২ কেজি লবণ, ২ লিটার সয়াবিন তৈল, ১ কেজি মসুর ডাল ও ৫০০ গ্রাম সিদোল-শুটকি। ইতোমধ্য সাজেক ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাইচ্যা পাড়া, জাম পাড়া, অরুন পাড়া ও লংতিয়ান পাড়ার মোট ১০৫ পরিবারকে খাদ্য প্যাকেজ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা, সাজেক থানার উপ-পরিদর্শক মো: মামুন, শিয়ালদাই মৌজার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) জৈইপুই থাং ত্রিপুরা, ইউপি সদস্য মন্টু কুমার ত্রিপুরা,বনবিহারী চাকমা, জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর বিনোদন ত্রিপুরাসহ অন্যরা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.