পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদুত সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন,জমি-জমা নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা ও ঘটছে অসংখ্য বিরোধের ঘটনা। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা ও বিরোধ নিরসনে ভূমি ব্যবস্থাপনা অনলাইনে ডিজিটাইজেশন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই ভূমি ডিজিটাইজেশন হলে পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি ব্যবস্থাপনা সমাধান সহজ হয়ে আসবে। এতে দূর হবে জনগণের হয়রানি ও ভোগান্তি। পাশাপাশি কমবে দুর্নীতি ও অনিয়ম।
শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য জেলাসমূহের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বলা হয়, পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিসেবা ও ব্যবস্থাপনা অনলাইনে আনা হলে নামজারি, মিউটেশন, রেকর্ডসহ নিশ্চিত হবে। এতে তিন পার্বত্য জেলার নাগরিকরা অনলাইনে সহজে ভূমি সেবা পাবে। জনবান্ধব ভূমিসেবা সবার দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প’। তাছাড়াও অনলাইনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধিমালা ১৯০০, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিস্পত্তি কমিশনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত সবগুলো আইন অনুযায়ী যুক্ত হবে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার ভূমি ব্যবস্থাপনা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুরুল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অব. মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানসামা লুসাই, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, তিন পার্বত্য জেলার প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী ভূমি কমিশনারসহ বিভিন্ন স্তরের অংশীজনরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অঞ্চলের নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ নিয়ে পার্বত্য জেলাসমূহের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন পদ্ধতিতে চালু করা হবে।
দেশে ভূমিসংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ছাড়াও পার্বত্য অঞ্চলে আলাদা আইন প্রচলিত আছে। সেগুলো অনুযায়ী এ অঞ্চলে ভূমিসেবা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.