খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় জারি করা অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল (১ অক্টোবর) শহরের পানখাইয়াপাড়া সড়ক ও মহাজনপাড়ায় অন্তত পাহাড়ীদের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। দোকানের মালামাল সড়কে এনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। দোকানগুলোর অধিকাংশই কাপড়, চীবর, বিউটিপার্লার, খাবার দোকান। একটি প্রাইভেট হাসপাতালও ভাংচুরের শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই পাহাড়িদের মালিকানাধীন।
এদিকে আজ ( ২ অক্টোবর) সকাল থেকে সীমিতসংখ্যক দুরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীন সড়কে খুব কম যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি উত্তোরণে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের সংঘাতে রূপ নিলে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়। এরআগেও ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে জেল খাটতে হয়েছিল। অবশ্য সেই মামলায় খালাস পান তিনি।
---হিলবিডি/সম্পদনা/এ,ই