পার্বত্য চট্টগ্রামে উদ্ভুত পরিস্থিতি দেখতে এবং করণীয় ঠিক করতে খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে এসেছেন সরকারের তিনজন উপদেষ্টা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের অন্য দুই সদস্য হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
তারা বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, বিশিষ্টজন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সভায় জেলার শান্তি-সম্প্রীতির উন্নয়নে মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, জেলা বিএনপি‘র সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া, সাবেক অধ্যক্ষ বোধিসত্ত দেওয়ান, সুশীল জীবন চাকমা, সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য প্রমূখ।
এসময় বিজিবি‘র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: আশরাফুজ্জান ছিদ্দিকী, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো: মাইনুর রহমান, পুলিশের আইজিপি মো: ময়নুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় বসবাসরত বাসিন্দাদের একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তারা ষড়যন্ত্র রুখতে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেন। তারা বলেন, পাহাড়কে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। যার যার অবস্থান থেকে দল-মত নির্বিশেষে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও অনুরোধ করেন। এসময় আইন শৃংখলাবাহিনী ও প্রশাসনকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি পাহাড়ের সাম্প্রতিক ঘটনাকে দু:খজনক উল্লেখ করে বলেন, আমরা খাগড়াছড়িতে সেই সুন্দর পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনবো। যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, তা আগামীতে যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। পারস্পরিক সাংস্কৃতিক মেলামেলা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য জায়গার ছবি এনে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা বন্ধে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। নতুন বাংলাদেশ গড়তে একযোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এরআগে রাঙ্গামাটি থেকে হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি আসেন। বিকাল ৪টায় সভা শুরু হয়ে বিকাল ৫টায় শেষ হয়।
উল্লেখ্য যে, বুধবার এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার জের ধরে জেলার দীঘিনালা ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ৩জন নিহত, কয়েকজন আহত হন। এবং বহু দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়া হয়। পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
---হিলিবিডি/সম্পাদনা/এ,ই