খাগড়াছড়িতে ৭২ ঘন্টা সড়ক অবরোধের প্রথমদিন অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্দ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে এই অবরোধ চলছে। অবরোধ চলাকালে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়ক অবরোধের কারনে খাগড়াছড়ি থেকে দুরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের ভেতর কিছু হালকা যান চলাচল করলেও তাও ছিল সীমিত। সাজেকের উদ্দেশ্যে আসা বেশ কয়েকজন পর্যটক খাগড়াছড়িতে আটকা পড়েন, কতজন আটকা পড়েছেন তা জানাযায়নি। অন্যদিকে অবরোধ থাকায় সাজেক থেকেও কিছু পর্যটক ফিরতে পারেননি। দূর্ভোগে পড়েন অনেক দুরপাল্লার যাত্রীও।
শুক্রবার ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে সড়ক ও নৌ পথ অবরোধের ডাক দেয়া হয়েছিল। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষনা দেয় আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো: মামুনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে অপ্রীতিকর ঘটনায় ৩ জন নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হন।
পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে জেলার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে জেলা জুড়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি‘র টহল চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
---হিলবিডি/সম্পদনা/এ,ই