খাগড়াছড়িতে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালায় সংঘর্ষ এবং এর জের ধরে রাতভর বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনায় ৩ নিহত ও ২০ জনের মত আহত হয়েছে । এর মধ্যে ধন রঞ্জন চাকমা (৫০) গত বৃহষ্প্তিবার দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা গেছে । অপর দু জন রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা (২০) খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নারানখাইয়া এলাকায় ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছে ।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান এবং জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সরেজমিনে দীঘিনালার সংঘাত ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দীঘিনালা জোন কমান্ডার বলেছেন
খাগড়াছড়ি আধূনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা নিহতের লাশ হাসপাতালে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় অপর দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় (পাহাড়ী -বাঙ্গালী ) দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার পর থেকে দীঘিনালা,পানছড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার অবরোধ করে স্থানীয়রা ।
রাতে জেলা সদরের নারানখাইয়া ও স্বনির্ভর এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে , মুহুর মুহু গুলির শব্দ শুনা যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুই পাহাড়ী যুবক ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছে। এর মধ্যে জুনান চাকমা (২০) কে মৃত অবস্থায়, রুবেল ত্রিপুরা ((৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
হাসপাতালে চিকিসাধীন আহত ও তাদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, জেলা সদরের নারাখাইয়া এলাকায় কয়েকজনকে আটক করলে তারা ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী গুলি বর্ষন করলে তারা গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে পুরো জেলার জনমনে আতংক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ।
খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত পাহাড়ী লোকজন রাস্তায় গাছকেটে এবং চেঙ্গী নদীর জন্য নির্মিত ব্লক ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর ,দীঘিনালা ও পানছড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে । তবে নিহতদের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষথেকে কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি। তবে দীঘিনালা জোন কমান্ডার লে, কর্ণেল ওমর ফারুক বলেছেন পাহাড়ী-বাঙ্গালী যে সংঘাত রাত ৮ টা পর্যন্ত ছিলো। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ বিজিবি এসে নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক আছে, টুরিস্টরা আসা-যাওয়া করছে, সাধারণ লোকজন দোকন পাঠ খুলেছে। এ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত আছে আশাকরি শান্ত থাকবে।
---হিলবিডি/সম্পদনা/এ,ই