আদালতের মাধ্যমে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) ও সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
কতুকছড়িতে বড় মহাপুরুম উচ্চ বিদ্যালয় মূল ফটকে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙামাটি জেলা সভাপতি রিনিশা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ধর্মশিং চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি রিমি চাকমা ও পিসিপির জেলা সভাপতি তনুময় চাকমা। সমাবেশ একটি একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম-এর যৌথ ব্যানারে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন সড়কের লাদুমুনি বাজারে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক রুপেশ চাকমার সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা কমিটির সদস্য নয়ন চাকমার সঞ্চালায় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি পলেন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সহসভাপতি জোস্না চাকমা ও পার্বত্য নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি অর্চনা চাকমা। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাজেক জুমচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জোতি লাল চাকমা। এছাড়া রাঙামাটির কাউখালি ও নানিয়ারচর উপজেলায় একই দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ যুগ যুগ ধরে নিজেদের প্রথাগত আইন মেনে এ অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। এ শাসনবিধি বাতিলে মাধ্যমে এ অঞ্চলের রাজা, হেডম্যান ও কার্বারীর পদবী বিলুপ্তিসহ পাহাড়িদের প্রথাগত আইন, রীতি-নীতি ও ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চিরতরে মুছে দিতে চাইছে। সরকার যদি এ শাসনবিধি বাতিলের মাধ্যমে এ প্রথাগত রীতি-নীতি পদ্ধতি ও অধিকার হরণ করতে চায় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তা কখনই মেনে নেবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.