মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও উদ্যোগে চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ের গৃহীত কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রতুষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙাামাটির বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্রকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সম্মুখে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু মূর্যালে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
পরে কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা। সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (যুগ্মসচিব)। অনুষ্ঠান শুরুতে অতিথিবৃন্দ মঞ্চে আসন এবং সভাপতি অনুমতিক্রমে বীর শহীদদের আত্মার শান্তির কামনা ১ মিনিট নিরবতা পালনসহ পবিত্র ধর্মগ্রস্থ থেকে পাঠ করার মাধ্যমে আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিকতা কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় আলোচনা সভায় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (যুগ্মসচিব), সদস্য অর্থ মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব), সদস্য প্রশাসন মোহাম্মদ মাহবুবউল করিম (উপসচিব)সহ বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বক্তব্যের মাধ্যমে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। উপস্থাপন করেন বোর্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাগর পাল। সভায় বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যানময় চাকমা, রাঙ্গামাটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, সহকারি প্রকৌশলী মোঃ খোরশেদ আলম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আমিনুর রশিদসহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বীরাঙ্গানাদের আত্মার শান্তি কামনায় বোর্ডের জামে মসজিদে মোনাজাত, তবলছড়িস্থ আনন্দ বিহার এবং তবলছড়িস্থ শ্রী শ্রী রক্ষাকালি মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা আয়োজন করা হয়। তাছাড়া খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ইউনিট অফিসসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় চেয়ারম্যান বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারবর্গ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদ ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বীরাঙ্গানাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী এদেশের নিরীহ সাধারণ জনগণের উপর গণহত্যা চালিয়েছিলো এবং রাষ্ট্রীয় সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো। ২৬ মার্চের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার এর স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে যে উদ্দেশ্যে অর্জিত মহান স্বাধীনতা ও বীর শহীদদের রক্ত যাতে বৃথা না যায় সেজন্য যার যার অবস্থান থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য বোর্ডের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.