দেশের ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে শুক্রবার রাঙামাটি রাজ বন বিহারে প্রথমবারের মতো বালুখালী ইউনিয়নবাসীর সার্বজনীনন মহাসংঘদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত মহাসংঘ দান অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশন রাঙামাটি রাজ বন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, সিনিয়র ভিক্ষু জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির ও ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির। এতে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান অমর চাকমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুরুতে বৌদ্ধ সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধ মূর্তি দান,অষ্টপরিস্কার দান,হাজার প্রদীপ দান, বিশ^ শান্তি প্যাডোগা নির্মানার্ধে অর্থদানসহ নানানবিধ দান করা হয়। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
রাজ বন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির তার ধর্ম দেশনায় ভগবান বুদ্ধ ও বনভান্তের উপদেশের উদ্বৃত্তি দিয়ে বলেন, মানুষের দুটি সত্বাার মধ্যে একটি হলো প্রজ্ঞাবান ও অপরটি দুষ্প্রাজ্ঞ্য। প্রজ্ঞানবানরা দুঃখহীন, দুঃখনিরোধ, দুঃখনিরোধের কারণ উপায়গুলো জানেন তথা তাদের মধ্যে চারি আর্যসত্যর জ্ঞান রয়েছে। আর দুষ্প্রাজ্ঞরা দুঃখহীন, দুঃখনিরোধ, দুঃখনিরোধের কারণ উপায়গুলো জানেন না। দুষ্প্রাজ্ঞদের জ্ঞান থাকলেও তদের মধ্যে খারাপ জ্ঞান, কুবুদ্ধি, কুকৌশল ও মানুষকে ঠকায়। যার কারণে তারা নরকে যায়। তাই দুষ্প্রাজ্ঞ না হয়ে প্রজ্ঞানবান হওয়া দরকার বলে সবাইকে তিনি হিতোপোদেশ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.